আফ্রিকার দেশ কঙ্গোয় বন্যা-ভূমিধসে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪২৬ জনে পৌঁছেছে। বুধবার (১০ মে) নর্থ কিভু এলাকায় থেকে আরও ১৬ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সরকারি হিসাবে, সাড়ে ৫ হাজার মানুষ এখনো নিখোঁজ রয়েছেন।
নিখোঁজদের সন্ধানে এবং মরদেহ উদ্ধারে তল্লাশি অভিযান চলছে। কিন্তু যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়ায় ব্যাহত হচ্ছে উদ্ধার তৎপরতা। দুর্গত অঞ্চলে নেয়া যাচ্ছে না ভারী উদ্ধার সরঞ্জাম। খবর এপির
দেশটির সেনা মুখপাত্র জানিয়েছেন, ভূমিধসের সময় অনেকেই ঘুমিয়ে ছিলেন। ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হলে, তারা মাটিচাপা পড়েন। এক সপ্তাহ পর তাদের জীবিত পাবার সম্ভাবনা ছেড়ে দিয়েছেন উদ্ধারকর্মীরা।
আরও পড়ুন>> ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে নিম্নচাপ, বন্দরে ২ নম্বর সংকেত
গত সপ্তাহে সাউথ কিভু প্রদেশের বুশুশু ও নিয়ামুকুবি গ্রামের ঘরবাড়ি হড়কা বানে ভেসে যায় এবং পুরো গ্রাম দুটি কাদা ও আবর্জনার নিচে চাপা পড়ে, এতে বহু পরিবারের অনেক সদস্য নিহত হন।
খালি একটি জায়গায় জমে থাকা মাটির স্তূপ দেখিয়ে অ্যালিয়েন্স মুফানজারা (২২) বলেন, ‘কাদার মধ্যে ওই জায়গায় আমাদের বাড়ি ছিল। আমরা আমাদের পরিবারের ছয়জনকে হারিয়েছি। আমাদের বাড়িতে পাঁচটি শিশু ও আমাদের মা মারা গেছেন।’
এদিকে বুধবারও নর্থ কিভু এলাকার সংগ্যাম্বলে খনিতে ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে। এতে প্রাণ হারিয়েছেন ৬ জন। এখনো ধ্বংসস্তূপের নীচে আটকা রয়েছেন শতাধিক খনি শ্রমিক।
আরও পড়ুন>>১০ দফা দাবিতে শনিবার বিক্ষোভ সমাবেশ করবে বিএনপি
চলতি মাসের শেষ নাগাদ দেশটিতে বৈরী আবহাওয়া থাকবে- এমন পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে। প্রতিবেশী রুয়ান্ডাও বৃষ্টি-বন্যায় বিপর্যস্ত। প্রাণ গেছে ১৩০ জনের। ক্ষতিগ্রস্ত ৫ হাজারের মতো ঘরবাড়ি-স্থাপনা।
কঙ্গোর রেড ক্রস জানিয়েছে, এ পর্যন্ত ৯৮ জন নারী ও ৮২ শিশুসহ ২৭৪ জনকে কবর দেওয়া হয়েছে।
বন্যায় ঘরবাড়ি ও স্কুল পানির তোড়ে ভেসে গেছে এবং বহু রাস্তা ভেঙে পড়ে ৮ হাজার ৮০০ জনেরও বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে তারা। পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা ভেঙে পড়ায় ও আবর্জনার মধ্যে লাশ পড়ে থাকায় জনস্বাস্থ্য মারাত্মক হুমকির সম্মুখীন হতে পারে বলে রেড ক্রস সতর্ক করেছে।
কেন্দ্রীয় সরকার ওই এলাকায় একটি প্রতিনিধি দল পাঠিয়েছে এবং একদিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেছে।
ইবাংলা/এসআরএস