জাতিসংঘও শেখ হাসিনার দেশ পরিচালনার প্রশংসা করে: তথ্যমন্ত্রী

তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চিন্তাপ্রসূত কমিউনিটি ক্লিনিক ব্যবস্থা জাতিসংঘে ‌‌‌‘দি শেখ হাসিনা ইনিশিয়েটিভ’ শিরোনামে প্রস্তাব হিসেবে সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়েছে। এতেই প্রমাণিত হয় শেখ হাসিনার সরকার পরিচালনার ধরণ এবং জনগণের জন্য তার যে কাজ আজ জাতিসংঘও সেটির প্রশংসা করে ও স্বীকৃতি দেয়।

বৃহস্পতিবার (১৮ মে) দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, জাতিসংঘে মঙ্গলবার (১৬ মে) যখন ‘শেখ হাসিনা ইনিশিয়েটিভ’ প্রস্তাবটি পাস হয়েছে, তখন আমাদের এখানে ১৭ তারিখ অর্থাৎ তার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের দিন। বিশ্বের ৭১টি দেশ বাংলাদেশের সঙ্গে এই প্রস্তাব কো-স্পন্সর করেছে যা জাতিসংঘে সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়েছে।

আরও পড়ুন>> বিএনপির লক্ষ্য যেকোনো উপায়ে ক্ষমতা দখল করা: ওবায়দুল কাদের

‘মোখা’র মতো রাজনৈতিক অঙ্গনে ঝড় আসছে’ বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন মন্তব্যে হাছান মাহমুদ বলেন, আশ্চর্যের বিষয়, একটি ঘূর্ণিঝড় দেশের উপকূলে আঘাত হানার আগে মানুষ যখন আতঙ্কিত, জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত, সে সময় ‘মোখা’ যেন ক্ষতিগ্রস্ত করতে না পারে সেজন্য মানুষের পাশে দাঁড়ানোর কথা। সেটি না করে বরং উপহাস করা একজন রাজনীতিবিদের সাজে না।

‘মোখা’র মতোই বিএনপির আন্দোলনও পাশ কাটিয়ে চলে যাচ্ছে’ উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপি হাঁটা শুরু করছে, হাঁটুক। উনারা কিছুদিন আগে হেঁটেছেন এখন আবার সমাবেশ করবেন বলছেন, আবার পদযাত্রা কর্মসূচিও না কি দেবেন। উনারা হাঁটাহাঁটি করলে ভালো।

বিদেশি কূটনীতিকদের নিরাপত্তা দেওয়ার বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, সব কূটনীতিককে নিরাপত্তা দেওয়া হয়। কিন্তু দেশে জঙ্গি তৎপরতা বৃদ্ধি পাওয়ার পর কয়েকজন কূটনীতিককে বাড়তি নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছিলো। আমাদের সরকার অত্যন্ত সফলভাবে জঙ্গিদের দমন করতে সক্ষম হয়েছে। জঙ্গি দমনে সক্ষমতায় অনেক উন্নত বড় দেশের চেয়েও বেশি সক্ষমতা দেখাতে পেরেছি। বাংলাদেশে স্বাধীনতার পর থেকে এ রকম বাড়তি নিরাপত্তা কূটনীতিকদের দেওয়া হতো না। সেটি এখন যেহেতু প্রয়োজন নাই সেজন্য প্রত্যাহার করা হয়েছে। কিন্তু তাদের নিরাপত্তা অব্যাহত রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এটাও সুস্পষ্ট করেছেন, কেউ যদি বাড়তি নিরাপত্তা সরকারের কাছে চায় এবং সেজন্য প্রয়োজনীয় ব্যয় নির্বাহ করে, তাদের সেটি দেওয়া যেতে পারে। আর এক্ষেত্রে কোনো দেশের সঙ্গে সম্পর্কের কোনো বিষয় নাই, এটি রুটিন ওয়ার্ক।

ইবাংলা/এসআরএস

‘শেখ হাসিনাজাতিসংঘতথ্যমন্ত্রী