গাজীপুর সিটিতে সুষ্ঠু নির্বাচন হচ্ছে, কোন অনিয়ম হলে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আলমগীর।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে গাজীপুর সিটি নির্বাচন পর্যবেক্ষন কালে এমনটি জানান তিনি।
ইসি আলমগীর বলেন, মোট ৪ হাজার ৪শ ৩৫ টি সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। সার্বিকভাবে এখন পর্যন্ত গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোটগ্রহণের পরিবেশ ভালো। শৃঙ্খলার সঙ্গে ভোট চলছে। কোথাও বড় ধরনের কোনো অনিয়মের খবর পাওয়া যায়নি।
এছাড়াও ১৮ টি ডিজিটাল ডিসপ্লে বোর্ডের মাধ্যমে একই সাথে ৪৬৬ টি সিসি ক্যামেরায় ৪৬৬ টি ভোট কক্ষ পর্যবেক্ষণ করছে ইসি। প্রতি ডিসপ্লে দশ সেকেন্ড পরপর অটো রোটেট হয়ে ভোট গ্রহণ কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করছে।
আরও পড়ুন>> যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে ট্রাম্পের প্রতিদ্বন্দ্বী ডিস্যানটিস
ইভিএম ও সিসিটিভি ক্যামেরা কাজ না করার বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, ইভিএম যেহেতু একটি মেশিন মাঝে মাঝে এটা অকার্যকর হয়ে পড়ে। এটা হতেই পারে। সঙ্গে সঙ্গে সেটা ঠিক করার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ৫-১০ মিনিট পরে আবার সবাই ভোট দিতে পারছে। সিসিটিভি ক্যামেরার ক্ষেত্রে যেটা হয়েছে কিছু কেন্দ্রে ক্যামেরা আছে কিন্তু ইন্টারনেট না থাকার কারণে আমরা ঢাকা থেকে দেখতে পাচ্ছি না। তবে সেগুলোতে রেকর্ডিং হচ্ছে। ভিডিও ফুটেজ আমাদের হার্ডডিস্কে থাকছে।
ইসি আলমগীর বলেন, সকালের শুরুতে ১০-১২টা ক্যামেরায় আমরা ছবি দেখতে পাইনি তার অনেকগুলি এখন ঠিক হয়ে গেছে।
অনিয়মের অভিযোগে কোনো গ্রেপ্তার আছে কি না- এই প্রশ্নে তিনি বলেন, সম্ভবত দুই-চারটি গ্রেপ্তারের খবর আমরা পাব। আমরা এসব বিষয় আপনাদের জানাব।
অনেক কেন্দ্রেই মেয়র প্রার্থী জায়েদার পোলিং এজেন্ট পাওয়া যাচ্ছে না, এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইসি আলমগীর বলেন, এ বিষয়ে তো উনি কোনো অভিযোগ করেননি। না থাকলে সেটা তো তার অভিযোগ করা উচিত ছিল। তাদের সঙ্গে আমরা যখন মিটিং করেছি তখন বলেছি, নির্বাচনে যদি কোনো ধরনের বাধার সম্মুখীন হন, আমাদের নম্বরগুলো দেওয়া আছে, আমাদের কাছে জানাবেন, আমরা পুলিশ ও ম্যাজিস্ট্রেটের সহায়তায় ওই কেন্দ্রে এজেন্ট বসার ব্যবস্থা করে দেব।
আরও পড়ুন>> প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকি, সেই চাঁদ গ্রেপ্তার
মার্কিন ভিসা সংক্রান্ত নতুন নিয়ম বাংলাদেশের নির্বাচনে কোনো প্রভাব ফেলবে কিনা জানতে চাইলে ইসি বলেন, এ বিষয়ে আমি কোনো মন্তব্য করব না। এটা আন্তরাষ্ট্রীয় ব্যাপার। আমাদের দায়িত্ব হলো একটি সুষ্ঠু নির্বাচন করা। আমরা তার সবই করব। ওই বিষয়টা কমিশনের অংশ না। সে বিষয়ে কোনো রাষ্ট্র বা সরকারের সঙ্গে যে আন্ডারস্ট্যান্ডমেন্ট আছে, সেটা তারা বলতে পারবেন।
গাজীপুর সিটি নির্বাচনে ৪৮০টি কেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে ভোটগ্রহণ চলছে। ৪ হাজার ৪৩৫টি সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। এর ফলে সবগুলো কেন্দ্র সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় রয়েছে। এসব ক্যামেরার মাধ্যমে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে বড় পর্দায় ভোটের পরিস্থিতি মনিটরিং করছেন ইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
ইবাংলা/এসআরএস