জার্মানির ফুটবল ইতিহাসে আজ শনিবার (২৭ মে) যেন অবিস্মরণীয় হয়ে থাকবে। বুন্দেসলিগার শেষ ম্যাচ ডে’তে রোমাঞ্চ, উত্তেজনা, নাটকীয়তা কি ছিল না। মৌসুমের শেষ বেলায় ট্রফি কার হাতে উঠছে বায়ার্ন মিউনিখ নাকি বরুসিয়া ডর্টমুন্ড। বায়ার্নের দীর্ঘ রাজত্বের অবসান ঘটিয়ে শিরোপা ডর্টমুন্ডের ঘরে যাচ্ছে তা এক প্রকার নিশ্চিত ছিল। কেননা শেষ ম্যাচে জয় পেলেই হলুদ শিবিরে শিরোপা উল্লাস শুরু হবে। অপরদিকে বায়ার্নের জয়ের পরও তাকিয়ে থাকতে হবে বরুসিয়ার হার অথবা ড্রয়ের দিকে।
এমন সমীকরণের দিনে জামাল মুসিয়ালার নৈপুণ্যে ২-১ গোলে নিজেদের শেষ ম্যাচে জয় পেয়েছে বায়ার্ন মিউনিখ। কিন্তু নিজেদের হাতে থাকা শিরোপা নিজেরাই খুইয়েছে বরুসিয়া ডর্টমুন্ড। শেষ ম্যাচে মেইঞ্জের বিপক্ষে ২-২ গোলে ড্র করে বুন্দেসলিগার বায়ার্নের ইতিহাস আর ভাঙতে পারেনি হলুদ শিবিররা।
আরও পড়ুন>> নিষেধাজ্ঞা নিয়ে আ. লীগের মাথাব্যথা নেই: কাদের
এফসি কোলের বিপক্ষে ২-১ গোলের জয়ে টানা ১১তম লিগ শিরোপা জিতেছে বায়ার্ন। আজ মাঠে নামার আগে বুন্দেসলিগার শিরোপা নির্ধারণের সমীকরণ ছিল সহজ।
মৌসুমের শেষ ম্যাচটি জিতলেই ডর্টমুন্ড চ্যাম্পিয়ন। ডর্টমুন্ড পয়েন্ট খোয়ালেই শুধু বায়ার্নের শিরোপা উল্লাসের সুযোগ। যদি বায়ার্ন জেতে আর ডর্টমুন্ড হারে তাহলে এক পয়েন্টের ব্যবধানে এগিয়ে থেকে টমাস টুখেলের দল শিরোপা জিতবে। আর যদি বায়ার্ন জেতে, ডর্টমুন্ড ড্র করে, তাহলে দুই দলের পয়েন্ট দাঁড়াবে সমান ৭১।
লিগের শেষ ম্যাচে ৮ মিনিটে প্রথম লিড নেয় বায়ার্ন মিউনিখ। অন্যদিকে ১৫ মিনিটে পিছিয়ে পড়ে বরুশিয়া ডর্টমুন্ড। তবে কিছুক্ষণ পরেই সুযোগ আসে বরুসিয়ার। কিন্তু সেবাস্তিয়ান হেলার পেনাল্টি মিস করলে লিগ টেবিলে শীর্ষস্থান নিয়ে ম্যাচ শুরু করা ডর্টমুন্ড ম্যাচে ফেরার সুযোগ হারায়।
উল্টো ২৪ মিনিটে ব্যবধান দিগুন করে মেইঞ্জের। ফলে বায়ার্ন ১-০ গোলের লিডে এবং ডর্টমুন্ড ২-০ গোলে পিছিয়ে প্রথমার্ধ শেষ করে।
বিরতি থেকে এসে ৬৯ মিনিটে এক গোল শোধ করে ডর্টমুন্ড। দলটি যখন সমতায় ফেরার চেষ্টায় তখন তাদের ভাঙা স্বপ্ন জোড়া লাগার আশা জাগায় কোলন। ৮১ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করে সমতায় ফেরে দলটি। মন ভেঙে দেয় বায়ার্নের। ম্যাচে বায়ার্ন সমতা করলে এবং ডর্টমুন্ড হারলেও চ্যাম্পিয়ন হতো ডর্টমুন্ড।
আরও পড়ুন>> দুই মাসের মধ্যে বিচ্ছেদ হচ্ছে সৃজিত-মিথিলার!
তবে দেবতা ডর্টমুন্ডের সঙ্গে নির্মমতা দেখিয়েছি এদিন। ম্যাচের ৮৯ মিনিটে তরুণ মুসিয়ালার গোলে বায়ার্ন মিউনিখকে লিডে ফেরে। ওই গোলে জয় নিয়ে উৎসবের আমেজে মাঠ ছাড়ে দলটি। অন্যদিকে ডর্টমুন্ড যোগ করা সময়ে গোল করে ২-২ গোলের সমতা করে মাঠ ছাড়ে। কিন্তু তাতে একটা পয়েন্ট পেলেও লাভ হয়নি ডর্টমুন্ডের।
কেননা বুন্দেসলিগায় পয়েন্ট সমান হলে দুই দলকে আলাদা করবে গোল ব্যবধান। সেই জায়গায় এগিয়ে ছিল থমাস মুলাররা। টানা দশ বারের চ্যাম্পিয়নদের গোল ব্যবধান ৫৪, ডর্টমুন্ডের ৩৯।
ইবাংলা/এসআরএস