আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে সরকার বিদ্যুতের দাম বাড়াতে চায় না বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
তিনি বলেন, সরকার আপাতত গণহারে ভর্তুকি না দিয়ে যেসব খাতে ভর্তুকি দরকার সরকার সেখানে ভর্তুকি দেবে। নির্বাচনের আগে নতুন করে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর বিষয়ে সরকারের কোনো পরিকল্পনা নেই। আগামী বাজেটে এ খাতের ওপর কর হ্রাস করা যায় কিনা সেটিও বিবেচনা করা হচ্ছে।
সোমবার (২৯ মে) রাজধানীর বিদ্যুৎ ভবনে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
নসরুল হামিদ বলেন, আমাদের উৎপাদন যেমন বাড়ছে তেমনি ডিমান্ডও বাড়ছে। নির্বাচনের আগে বিদ্যুতের দাম বাড়াতে না চাইলেও এ খাতে অতিরিক্ত করভার কমাতে এনবিআরকে প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। বাজেটে তার প্রতিফলন পাবার আশা করছে মন্ত্রণালয়।
আরও পড়ুন>> প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে বিএনপি নেতার অশালীন বক্তব্য, আটক-৩,
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে আরও কিছুদিন ধৈর্য ধরতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী।
সৌরবিদ্যুৎ নিয়ে নসরুল হামিদ বলেন, অনেকেই বলেন চাইলেই ২ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সোলার থেকে পাওয়া সম্ভব। যারা এটা বলে তাদের জ্ঞাতার্থে জানাচ্ছি ২ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুতের জন্য ৬ হাজার একর জমি দরকার। এক্ষেত্রে কৃষিজমি হলে চলবে না। লাগবে অনাবাদী জমি। সোলার নিয়ে সরকার কাজ করছে। ধীরে ধীরে সব হবে।
জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা চাপের মধ্যে আছি এ কথা অস্বীকার করার কিছু নেই। আবার আমরা বসেও নেই। সমস্যা সমাধানে কাজ চলছে।
বিশ্বের যেসব দেশ যুদ্ধকে কেন্দ্র করে তেল-গ্যাসের ব্যবসা করতে পেরেছে তারা বাদে বাকি সবাই চাপের মধ্যে আছে বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, আমাদের পাওয়ার প্ল্যান্ট, ট্রান্সমিশন সব ঠিক আছে, ঝামেলা হচ্ছে জ্বালানি সরবরাহে। এ সমস্যাও ধীরে ধীরে কেটে যাবে। তিনটি লক্ষ্য নিয়ে আমরা কাজ করছি- জ্বালানিকে নিরবচ্ছিন্ন, নির্ভরযোগ্য ও সস্তা করে তোলা।
গ্যাসের সম্ভাবনা নিয়ে নসরুল হামিদ বলেন, ভোলায় গ্যাসের বড় রকমের সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে। কিন্তু চাইলেও গণহারে খনন করা যায় না। এটা একদিকে ব্যয়বহুল, অন্যদিকে আমাদের কিছু কারিগরি সীমাবদ্ধতাও আছে।
ইবাংলা/এসআরএস