খাদ্য মন্ত্রণালয় থেকে বিশেষ শর্তে চাল আমদানির সময় শেষ হয়েছে ৩ দিন আগেই। শর্তানুযায়ী ৩০ অক্টোবর ছিল চাল আমদানির শেষ দিন। এদিকে গত তিন দিনে দেশের বাজারে চালের মূল্য কেজি প্রতি বেড়েছে ২-৪ টাকা।
সরকার গত ২৫ আগস্ট ৪০০ জন আমদানিকারককে সাড়ে ১৬ লাখ মেট্রিক টন চাল আমদানির অনুমতি দেয়। যার মধ্যে ১৪ লাখ ৫৩ হাজার মেট্রিক টন সিদ্ধ চাল ও এক লাখ ৯৭ হাজার মেট্রিক টন আতপ চাল।
নির্ধারিত সময়সীমা শেষ হওয়ায় খাদ্যমন্ত্রণালয় থেকে ২৫ শতাংশ হারে চাল আমদানির অনুমোদন বাতিল করে দেওয়া হয়। এখন ভারত থেকে চাল আমদানি করতে ৬২ শতাংশ হারে শুল্ক পরিশোধ করতে হবে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
বেনাপোল আমদানি-রফতানিকারক সমিতির সভাপতি মহসিন মিলন বলেন, বাজারে একশ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী চালের সংকট সৃষ্টি করে চালের দাম বাড়াচ্ছে। বাজার তদারকির মাধ্যমে অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।
মিলারদের বিরুদ্ধে দাম বাড়ানোর অভিযোগ অস্বীকার করে শার্শার চালকল মালিক আশরাফুল আলম বাবু বলেন, প্রতিবার চালের দাম বাড়লেই মিল মালিকদের দোষ দেওয়া হয়। কিন্তু এবার চালের দাম বাড়ানোর পেছনে মিলারদের কোনও হাত নেই। আমদানি বন্ধের কারণে দাম বাড়তে শুরু করেছে। আমদানি স্বাভাবিক থাকলে মূল্য সহনীয় থাকবে।
বেনাপোল কাস্টমস কমিশনার মো. আজিজুর রহমান জানান, খাদ্য মন্ত্রণালয় থেকে ফের নির্দেশনা আসলে ভারতে আটকে থাকা চাল আগের মতো ২৫ শতাংশ শুল্ককরাদি পরিশোধ করে ব্যবসায়ীরা খালাস করতে পারবেন। নির্দেশনা না আসা পর্যন্ত ভারত থেকে আমদানি হওয়া চাল ৬২ শতাংশ শুল্ককরাদি পরিশোধ করে খালাস নিতে হবে।
ইবাংলা/টিপি/ ৩ নভেম্বর, ২০২১