প্রাথমিক বিদ্যালয়েও প্রোগ্রামিং শিক্ষার সুযোগ!

ডেস্ক রিপোর্ট: ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশের রূপকল্প বাস্তবায়নে জ্ঞাননির্ভর ও প্রযুক্তি নির্ভর কার্যক্রম জোরদারের আহ্বান জানিয়েছেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী। বলেন, এ কারণেই প্রোগ্রামিংকে সরকার গুরুত্ব দিচ্ছে। ২০২২ সাল থেকে দেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রোগ্রামিং শিক্ষা চালু করা হবে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। তিনি বলেন, আমাদের লক্ষ্য শহর ও গ্রামের শিক্ষার্থীদের মধ্যে বৈষম্য থাকবে না। সবাই সমান সুযোগ ও স্বপ্ন নিয়ে বেড়ে উঠবে।

আইসিটি বিভাগের উদ্যোগে ‘হাই স্কুল প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা ২০২১’ এর সমাপনী অনুষ্ঠানে শক্রবার (১১ জুন) তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশের রূপকল্প বাস্তবায়নে জ্ঞাননির্ভর ও প্রযুক্তি নির্ভর কার্যক্রম জোরদারের আহ্বান জানিয়েছেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী। বলেন, এ কারণেই প্রোগ্রামিংকে সরকার গুরুত্ব দিচ্ছে।

পলক বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলেই এক দশক আগে ৬ষ্ঠ শ্রেণি থেকে তথ্যপ্রযুক্তি শিক্ষা চালু করা হয়েছে। যার সুফল এখন আসতে শুরু করেছে। বিশ্বের বিভিন্ন ভাষাভাষীর মধ্যে যোগাযোগ স্থাপনও সহজ হয়েছে প্রযুক্তির ব্যবহারে।

তিনি বলেন, সাইবার সিকিউরিটি ও প্রোগ্রামিংয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দক্ষ জনবলের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। আমরা এ সুযোগ কাজে লাগাতে বিভিন্ন পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। যা চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের জন্য তরুণদের উপযোগী করে গড়ে উঠতে সহায়তা করবে বলে মনি। করোনার মধ্যেও দেশের সার্বিক কার্যক্রম প্রযুক্তির কল্যাণে চলমান রাখা গেছে।

ভার্চুয়াল আলোচনায় ড. জাফর ইকবাল বলেন, আমি চাই বাংলাদেশে বিশ্বের সবচেয়ে বড় প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা হোক। করোনা পরবর্তী সময়ে অনলাইন ও অফলাইন দুই মাধ্যমে সুযোগ রেখে এমন আয়োজন করা যায়। শিক্ষার্থীদের জানা দরকার প্রোগ্রামিং করতে বিশেষ জ্ঞান থাকতেই হবে তা নয়। প্রশিক্ষণ ও দিক নির্দেশনা পেলে প্রাথমিক স্তরের প্রোগ্রামিং সাধারণ শিক্ষার্থীরাই করতে পারবে। তার মতে, সেসুযোগ সারাদেশের শিক্ষার্থীদের জন্য থাকা উচিত।

এ সময় শিক্ষাবিদ অধ্যাপক মোহাম্মদ কায়কোবাদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের প্রত্যয়কে ব্যক্ত করেছেন, সে লক্ষ্য পূরণে কাজ করে যাচ্ছে তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়। তবে মনে রাখতে হবে বিদেশ থেকে সফটওয়্যার এনে, প্রকৌশলী বা প্রোগ্রামার এনে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়া যাবে না। তাই দেশে ভালো মানের প্রোগ্রামার তৈরিতে জোর দিতে হবে। এক্ষেত্রে স্কুল কলেজ পর্যায়ে প্রোগ্রামিং শিক্ষা চালু করা গেলে তা ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে বলে মনে করি।

কুইজ প্রতিযোগিতায় ৬ জন এবং প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতায় ৬ জন বিজয়ী হন। তাদেরকে দেশে তৈরি ল্যাপটপ এবং মোবাইল ফোনসেট পুরস্কার দেওয়া হবে।

ই বাংলা/পরীক্ষামূলক

Comments (0)
Add Comment