বরিশাল ও খুলনা সিটিতে ভোটগ্রহণ চলছে

বরিশাল ও  খুলনা  সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলছে। সোমবার (১২ জুন) সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়। ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) বিকেল ৪টা পর্যন্ত টানা ভোটগ্রহণ চলবে।

বরিশাল ও খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোটগ্রহণ উপলক্ষে মাঠে মোতায়েন করা হয়েছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের। কেন্দ্র পাহারায় মোতায়েন করা হয়েছে ১৬ থেকে ১৭ জনের ফোর্স। মাঠে নির্বাচনী আচরণ প্রতিপালনে নিয়োজিত করা হয়েছে নির্বাহী ও বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট।

আরও পড়ুন>> পাকিস্তানে ভারী বর্ষণে ৩৪ জনের মৃত্যু

এছাড়া রয়েছে ইসির নিজস্ব পর্যবেক্ষক টিমও। নির্বাচন ভবনে মনিটরিং সেল গঠন করা হয়েছে। প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে স্থাপিত সিসি ক্যামেরায় ভোটগ্রহণ পর্যবেক্ষণ করবেন নির্বাচন কমিশনাররাও। সব ছাপিয়ে দেশবাসীর আগ্রহের তালিকায় সবার উপরে বরিশাল সিটি নির্বাচন।

ইসি সূত্রে জানা যায়, বরিশাল সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ খোকন সেরনিয়াবাত, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের হাতপাখা প্রতীকের প্রার্থী মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম, জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী ইকবাল হোসেন তাপস, জাকের পার্টির গোলাপ ফুল প্রতীকের প্রার্থী মিজানুর রহমান বাচ্চু, টেবিল ঘড়ি প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী কামরুল আহসান রুপন, হাতি প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আসাদুজ্জামান ও হরিণ প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আলী হোসেন হাওলাদার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

কাউন্সিলর পদে ভোটের মাঠে রয়েছেন ১৫৮ জন প্রার্থী। সাধারণ কাউন্সিলর পদপ্রার্থী ১১৬ জন ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদপ্রার্থী ৪২ জন। নির্বাচনে দুই লাখ ৭৬ হাজার ২৯৮ জন ভোটার ভোট দেওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন। মোট ১২৬টি কেন্দ্রের ৮৯৪টি ভোটকক্ষে ভোটগ্রহণ করা হবে। এ নির্বাচনী এলাকায় ৩০ জন নির্বাহী ও ১০ জন বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করছেন। তারা নির্বাচনী আচরণবিধি প্রতিপালন ও বিভিন্ন অপরাধের সংক্ষিপ্ত বিচারকাজ সম্পন্ন করবেন।

ভোটের পরিবেশ শান্তিপূর্ণ রাখতে মোতায়েন করা হয়েছে ১০ প্লাটুন বিজিবি, তিন সেকশন কোস্টগার্ড, র্যাবের ১৬টি টিম, পুলিশ-এপিবিএন-ব্যাটালিয়ান আনসারের ৪৩টি টিম। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা এবং নির্বাহী ও বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেটরা ভোটের দুই দিন পর পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করবেন।

আরও পড়ুন>> ‘মা’ দেখতে সিলেটে পরী

অন্যদিকে, নির্বাচন উপলক্ষে ৭২ ঘণ্টার নিষিদ্ধ করা হয়েছে মোটরসাইকেল। এছাড়া ভোটের দিন সীমিত থাকবে যন্ত্রচালিত যান চলাচল। নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে সব ধরনের মিছিলের ওপরও। সবার ভোট দেওয়ার সুবিধার্থে ভোটের এলাকায় ঘোষণা করা হয়েছে সাধারণ ছুটি।

এদিকে খুলনা সিটি কর্পোরেশন (কেসিসি) নির্বাচনে মেয়র পদে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের তালুকদার আব্দুল খালেক নৌকা প্রতীকে, জাতীয় পার্টির (জাপা) শফিকুল ইসলাম মধু লাঙ্গল প্রতীকে, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. আব্দুল আউয়াল হাতপাখা প্রতীকে ও জাকের পার্টির এস এম সাব্বির হোসেন গোলাপ ফুল প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এছাড়া টেবিল ঘড়ি প্রতীকে স্বতন্ত্রপ্রার্থী এসএম শফিকুর রহমান মুশফিকও ভোটের লড়াইয়ে রয়েছেন।

এই সিটিতে কাউন্সিলর পদে নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন ১৭৭ জন প্রার্থী। দুইজন কাউন্সিলর প্রার্থী বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। নির্বাচনে ৫ লাখ ৩৫ হাজার ৫২৯ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাবেন। ভোটগ্রহণ করা হবে ২৮৯টি কেন্দ্রের এক হাজার ৭৩২টি কেন্দ্রে। নির্বাচনী আচরণবিধি প্রতিপালনের জন্য ৪৩ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা হয়েছে। এছাড়া সংক্ষিপ্ত বিচারকাজ সম্পন্ন করতে দায়িত্ব পালন করছেন ১০ বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট। এছাড়া ভোটের পরিবেশ শান্তিপূর্ণ রাখতে নির্বাচনী এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে ১১ প্লাটুন বিজিবি, র্যাবের ১৬টি টিম, পুলিশ-এপিবিএন-ব্যাটালিয়ন আনসারে ৪৯টি টিম।

ইবাংলা/এসআরএস

বরিশাল ও খুলনা সিটিভোটগ্রহণ