‘মোনাফ শিকদারকে গুলি করেছে ইশতিয়াক’ কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র মুজিবুর রহমানের এমন বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়েছে আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ইশতিয়াক আহমেদ জয়।
- বুধবার (০৩ নভেম্বর) রাত ১০টায় ইশতিয়াক আহমেদ জয় তার ব্যক্তিগত ফেসবুক স্ট্যাটাস ও মিডিয়াকর্মীদের প্রেস বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
এতে বলা হয়েছে, ‘শহীদ দৌলত ময়দানে ৩রা নভেম্বর জাতীয় জেল হত্যা দিবসের আলোচনা সভায় কক্সবাজার পৌর মেয়র মুজিবুর রহমান তাঁর বক্তব্যে ইশতিয়াক নাম উল্লেখ করে যে অসত্য তথ্য প্রদান করেছেন, তাতে তিনি ভীষণভাবে মর্মাহত। এমনকি একজন জনপ্রতিনিধির ধৃষ্টতা ও উদ্ধত্যপূর্ণ এমন বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’
পাশাপাশি প্রতিবাদ লিপিতে ইশতিয়াক বলেছেন, ‘জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি মোনাফ শিকদারকে আমি গুলি করেছি। একজন দায়িত্বশীল ব্যক্তির কাছ থেকে প্রমাণ ছাড়া কাল্পনিক এ অভিযোগ কোন ভাবেই আশা করা যায় না । আমি স্পষ্টভাবে বলতে চাই, আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করে যে কাল্পনিক অভিযোগ করেছেন তা সম্পূর্ণভাবে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন । প্রকাশ্যে জনসম্মুখে এরকম মিথ্যাচারে আমার সামাজিক ও রাজনৈতিক মর্যাদা ক্ষুন্ন করার যে অপচেষ্টা করা হচ্ছে আমি তার তীব্র প্রতিবাদ জানাই । একজন জনপ্রতিনিধির এরকম বক্তব্য মুনাফ শিকদারকে হত্যাচেষ্টা মামলাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে পারে, এবং এতে বিচারকার্যের স্বাভাবিক প্রক্রিয়া ব্যাহত হতে পারে । তাই আমি বিনীতভাবে অনুরোধ করছি, দয়া করে এমন কোন বক্তব্য যাতে কেউ না দেয় যাতে ভিকটিমের ন্যায়বিচার বঞ্চিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে ।’ কেন্দ্রীয় এই যুবলীগ নেতা আরো স্পষ্ট করেন, ‘মুনাফ শিকদার জেলা ছাত্রলীগের যে কমিটির সহ-সভাপতি ছিলেন, আমি সেই কমিটির সভাপতি ছিলাম৷ একসাথে দীর্ঘদিন আমরা ছাত্ররাজনীতি করেছি এবং আমাদের মধ্যে সুসম্পর্ক বিদ্যমান৷ আমার বিরুদ্ধে ভিক্টিমের কোন অভিযোগ নাই, বরং ভিকটিম যার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন, তিনি আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করেছেন তা যে কাল্পনিক ও উদ্দেশ্য প্রনোদিত তা সবার বুঝার কথা । ভবিষ্যতে যেন কেউ এমন কোন বক্তব্য না দেয়, যে বক্তব্যে ভিকটিমের ন্যায়বিচার পাওয়ার স্বাভাবিক প্রক্রিয়া ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে ।’ প্রসঙ্গত, ২৭ অক্টোবর (বুধবার) রাত ৯টার দিকে কক্সবাজার শহরের কলাতলী সুগন্ধা পয়েন্ট এলাকায় শুঁটকি মার্কেটের সামনে কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি মোনাফ সিকদারকে গুলি করে হত্যাচেষ্টা করেছে দুর্বৃত্তরা। তার পিঠে ছোড়া গুলিটি সামনের তলপেট দিয়ে বের হয়ে তারেক নামের এক পথচারী গুলিবিদ্ধ হন। তার পায়েও গুলি লাগে। পরের দিন রাতে মোনাফ সিকদারের একটি ভিডিও বার্তা মুহূর্তেই নেট দুনিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়। ঐ ভিডিও জবানবন্দিতে মোনাফ সিকদার বলেন, ‘আমাকে কক্সবাজার পৌর মেয়র মুজিবুর রহমানের নির্দেশে গুলি করা হয়েছে। দুর্বৃত্তরা গুলি করার সময় আমাকে বলছে-,মুজিব চেয়ারম্যানের সঙ্গে লাগছো? এ বলে পেছন থেকে গুলি করে তারা পালিয়ে যায়।’ সামগ্রিক বিষয়ে জানতে কক্সবাজার পৌর মুজিবুর রহমানের সঙ্গে যোগযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ না করায় মন্তব্য পাওয়া যায়নি। এই ঘটনায় কক্সবাজার সদর মডেল থানায় মেয়র মুজিবুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নাসরিন সরোয়ার কাবেরীসহ আটজনের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা মামলা করেন শহরের পেশকারপাড়ার বাসিন্দা ও মোনাফের বড় ভাই মো. শাহজাহান।