বুকে ব্যথা অনুভব করায় চিকিৎসকের পরামর্শে চার দিন হাসপাতালে থাকার পর আজ ছাড়পত্র পাচ্ছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।
শনিবার (১৭ জুন) বিকেল পাঁচটার পর রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে তিনি বাসায় ফিরবেন বলে জানিয়েছেন চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইং সদস্য শায়রুল কবির খান।
শায়রুল কবির বলেন, ‘চিকিৎসকের ছাড়পত্র নিয়ে আজ বিকেল পাঁচটার দিকে এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে চেয়ারপারসন বাসার উদ্দেশ্য রওনা হবেন।’
আরও পড়ুন>> হোয়াটসঅ্যাপের দুই অ্যাকাউন্ট চালানো যাবে এক ফোনেই
গত সোমবার মধ্যরাতে খালেদা জিয়াকে গুলশানের বাসা থেকে বসুন্ধরার এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। রাত দেড়টার দিকে হাসপাতালে পৌঁছানোর পর কিছু পরীক্ষা শেষে তাকে ভর্তি করা হয়। হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক সাহাবুদ্দিন তালুকদারের তত্ত্বাবধানে ছিলেন তিনি। এই চিকিৎসক খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য গঠিত মেডিকেল বোর্ডের প্রধান।
সবশেষ গত ২৯ এপ্রিল নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন ৭৮ বছর বয়সী খালেদা জিয়া। ওইবার পাঁচ দিন চিকিৎসা নেওয়ার পর তিনি মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্তে বাসায় ফেরেন। সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি জটিলতা ও লিভারের রোগে ভুগছেন।
২০২১ সালের এপ্রিলে কোভিডে আক্রান্ত হওয়ার পর থেকে কয়েকবার নানা অসুস্থতা নিয়ে খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে হয়েছিল। গত বছর হাসপাতালে ভর্তির পর তার পরিপাকতন্ত্রে রক্তক্ষরণ ও লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত হওয়ার কথা জানান চিকিৎসকরা।
আরও পড়ুন>>‘রক্তজবা’ নিয়ে ফিরছেন তিশা
২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় পাঁচ বছরের সাজা নিয়ে কারাগারে গিয়েছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। ওই বছরের অক্টোবরে হাইকোর্টে আপিল শুনানি শেষে সাজা বেড়ে হয় ১০ বছর। এরপর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায়ও আরও সাত বছরের সাজা হয় বিএনপি চেয়ারপাসরসনের। তিনি তখনও পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডের পুরান কারাগারে ছিলেন।
পরে অসুস্থতার কারণে তাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে দীর্ঘদিন চিকিৎসা দেয়া হয়।
দেশে করোনার প্রকোপ শুরু হলে পরিবারের আবেদনে ২০২০ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার নির্বাহী ক্ষমতা প্রয়োগ করে খালেদার দণ্ড স্থগিত করেন ছয় মাসের জন্য। ওই বছরের ২৫ মার্চ খালেদা জিয়া মুক্তি পাওয়ার পর থেকে গুলশানে তার বাড়িতে রয়েছেন। প্রতি ছয় মাস পরপর তার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছে পরিবারের আবেদনে।
ইবাংলা/এসআরএস