দ্বিতীয় পর্বে আফগানিস্তান ক্রিকেট দলের বাংলাদেশ সফরে ব্যাটে-বলে জ্বলে ওঠেছে আফগান ক্রিকেটাররা। চলমান ওয়ানডে সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচ জিতে ইতিমধ্যেই সিরিজ নিজেদের করে নিয়েছে তারা। তবে আজ তৃতীয় ম্যাচে মুদ্রার উল্টো পিঠ দেখলো আফগানিস্তান। দ্বিতীয় ওয়ানডে উদ্বোধনী জুটিতেই আসে ২৫৬ রান, সেখানে আজ টিকে থাকাই যেন বড় দায়। শরিফুলের একের পর এক আঘাতে আফগানরা আজ এলোমেলো, অসহায়। শেষ পর্যন্ত ৪৫.১ ওভারে ১২৬ রানে অলআউট হয় সফরকারীরা।
আগের ম্যাচের উদ্বোধনী জুটির ব্যাপক সফলতায় আজও ভয় ছিল, গুরবাজ-ইবরাহিম জুটিতে এমন কিছু হবে না তো! সেই সুযোগও দেননি শরিফুল। মাত্র তৃতীয় ওভারেই ভাঙেন উদ্বোধনী জুটি। অফ স্টাম্পের বাইরে ফাঁদেই ফেললেন ইবরাহিম জাদরানকে। আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়া খোঁচা দিয়ে উইকেটের পেছনে মুশফিকুর রহিমের গ্লাভসে বন্দি হন। ৩ রানেই ভাঙে আফগানিস্তানের উদ্বোধনী জুটি।
আরও পড়ুন>> সিরিজ হাতছাড়া, সম্মান বাঁচানোর লড়াইয়ে মাঠে নামছে বাংলাদেশ
প্রথম উল্লাসের রেশ না কাটতেই দ্বিতীয়বার উল্লাসে মাতান শরিফুল। একই ওভারেই ফেরান তিনে নামা রহমত শাহকে। শূন্য রানে ফেরেন এই আফগান ব্যাটার। তিনিও ফেরেন মুশফিকের হাতে ক্যাচ দিয়ে। আর তাতে ৩ রানেই ২ উইকেট হারায় আফগানিস্তান।
এরপর ষষ্ঠ ওভারে তাসকিনের আঘাত। প্রথম চার বল ডট দেয়ার পর পঞ্চম বলে পুল করতে চেয়েছিলেন গুরবাজ। তবে তাসকিনের বাউন্সার ব্যাটে ছোঁয়া লেগে চলে যায় পেছনে, মুশফিকের গ্লাভসে। আগের ম্যাচে ১৪৬ রানের ইনিংস খেলা গুরবার আউট হন ২২ বলে ৬ রান করে।
এরপর টিকে থাকার লড়াইয়ে দাঁতে দাঁত চেপে থাকে আফগানিস্তান। একটু থিতু হতে একের পর এক দিতে থাকে ডট। তবুও শেষ রক্ষা হয়নি, মোহাম্মদ নাবীকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন শরিফুল। ১৬ রানে ৪ উইকেট হারায় সফরকারীরা। পরে দলীয় ৩২ রানের মাথায় সাকিব আল হাসান নেন আফগানদের পঞ্চম উইকেট। এবার এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে পড়েন নাজিবুল্লাহ জাদরান।
তবে একটা প্রান্ত ধরে রেখে খেলে যাচ্ছিলেন অধিনায়ক হাসমতউল্লাহ শহিদি। তার সেই প্রতিরোধ ভাঙেন তাইজুল ইসলাম। রিভার্স খেলতে গিয়ে লেগস্টাম্প হারান আফগান দলপতি। ৫৪ বলে তিনি করেন ২২। সপ্তম উইকেটে আব্দুল রহমান ব্যাটে নেমেও বেশি প্রতিরোধ করতে পারেনি। ২০ রানে ৪ করে ফেরেন।
তবে শেষ দিকে আজমতউল্লাহ ওমরজাই ও মুজিবের ৩৬ রানের জুটি আফগানদের লড়াকু পুঁজি সংগ্রহ দাঁড়করায়। শেষ পর্যন্ত ৪৫.১ ওভারে ১২৬ রানে অলআউট হয় হাশমতউল্লাহ শহীদির দল। বল হাতে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নেন শরীফুল ইসলাম। এছাড়া ২টি করে উইকেট নেন তাইজুল ইসলাম ও তাসকিন আহমেদ।
ইবাংলা/এসআরএস