শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেছেন, আপনারা দেখেছেন, এই দেশে যে সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব সারা বিশ্বের কাছে তা প্রমাণিত হচ্ছে। কাজেই এখানে ভিন্ন কিছু চিন্তা করবার কোনো অবকাশ নেই। যথাসময়ে, যথানিয়মে, আইন কানুন মেনে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে। একটি বড় রাজনৈতিক দল হিসেবে আমাদের প্রত্যাশা সেখানে সব রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করবেন।
শুক্রবার দুপুরে চাঁদপুর হাসান আলী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে সপ্তাহব্যাপী বৃক্ষমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান, পুলিশ সুপার মো. মিলন মাহমুদ, চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র মো. জিল্লুর রহমান, জেলা বন বিষয় কর্মকর্তা মো. তাজুল ইসলাম, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ড. সাফায়াত আহম্মেদ সিদ্দিকী প্রমুখ।
আরও পড়ুন>> যারা সংবিধান মানে না তারা বাংলাদশের নাগরিক না
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, নির্বাচন যে কোনো একটি গণতান্ত্রিক দেশের জন্য গণতন্ত্রকে এগিয়ে নিতে অন্যতম বাহক। প্রত্যেক দেশ তাদের আইন অনুযায়ী নির্বাচন করে। যারা এখন আমাদের সঙ্গে এসে দেখা করছেন তাদের দেশেও একইভাবে নির্বাচন হয়। তিনি আরও বলেন, শিক্ষার মান উন্নয়নে যে কাজগুলো দরকার তা আমরা খুব বড় আকারে করেছি। আমাদের একটি যুগোপযোগী শিক্ষাক্রম দরকার, আমরা সেই নতুন শিক্ষাক্রম, যেটা দিয়ে শিক্ষায় রূপান্তর ঘটে যাচ্ছে, সেটি প্রণয়ন করেছি এবং তা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি।
দীপু মনি বলেন, আজকে উচ্চ শিক্ষায়ও ব্যাপকভাবে গবেষণা থেকে শুরু করে শিক্ষক প্রশিক্ষণ, আমাদের ইন্ডাস্ট্রি একাডেমিয়াল লিংকেজসহ সব রকম ব্যবস্থা নিয়েছি। এই পরিবর্তনটা যে সূচিত হয়েছে, তার ফলাফল দেখতে আমাদের ৩ থেকে ৪ বছর সময় নিতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ২০০৮ সালে আমাদের নির্বাচনী ইশতিহারে অঙ্গীকার ছিল আমরা শিক্ষার সব পর্যায়ের মান উন্নয়ন করবো। এই শিক্ষাক্রমের পরিবর্তন দেখতে আরও ৩ থেকে ৪ বছর সময় লাগবে।
ইবাংলা/এসআরএস