ঘরের মাঠে দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-২০তে আফগানিস্তানের বিপক্ষে লড়ছে বাংলাদেশ। যেখানে মোহাম্মদ নবীর ফিফটিতে স্বাগতিকদের বিপক্ষে লড়াকু পুঁজি পেয়েছে সফরকারীরা।
শুক্রবার সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের মুখোমুখি হয়েছে আফগানিস্তান। এ ম্যাচে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৫৪ রান সংগ্রহ করে সফরকারীরা। এতে জয়ের জন্য টাইগারদের প্রয়োজন ১৫৫ রান।
এর আগে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান।
আফগানিস্তানের হয়ে ইনিংস উদ্বোধনে নামেন হযরতউল্লাহ জাজাই ও রহমানউল্লাহ গুরবাজ। ধীর গতির শুরু করলেও দ্বিতীয় ওভারেই টাইগার বোলারদের ওপর চড়াও হয় এ জুটি। তবে নাসুমের স্পিনে পরাস্ত হয়ে ৮ রানে সাজঘরে ফেরেন জাজাই।
আরও পড়ুন>> টাইগারদের বোলিং তাণ্ডবে বিপর্যস্ত আফগানরা
এরপর ক্রিজে আসেন ইব্রাহিম জাদরান। ম্যাচের চতুর্থ ওভারে মেহেদী মিরাজের তালুবন্দী হয়ে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন রহমানউল্লাহ। তাসকিনের বলে আউট হওয়ার আগে দুই বাউন্ডারি ও এক ছয়ে ১৬ রান করেন তিনি।
পরে ইব্রাহিমের সঙ্গে জুটি বাঁধতে উইকেটে আসেন করিম জানাত। অবশ্য তাতেও কোনো সুফল পায়নি সফরকারীরা। শরিফুলের পেসে পরাস্ত হয়ে উইকেটে থিতু হওয়ার আগেই সাজঘরে ফেরেন ওয়ানডেতে দূর্দান্ত সেঞ্চুরি করা ইব্রাহিম।
নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে রীতিমতো চাপে পড়ে যায় আফগানিস্তান। ম্যাচের ৭.৪ ওভারে নাজমুল হোসেন শান্তর তালুবন্দী করে করিম জানাতকে ড্রেসিংরুমের পথ দেখান টাইগার দলপতি সাকিব।
চাপ সামলে দলীয় ইনিংস এগিয়ে নেন নবী ও নাজিবউল্লাহ জুটি। এ জুটি থেকে আসে ৩৫ রান। তবে টাইগার শিবিরে ভয় ধরানো এ জুটি ভাঙেন মেহেদী মিরাজ।
ম্যাচের ১৩তম ওভারে নাজিবউল্লাহকে লিটনের তালুবন্দী করেন মেহেদী। আউট হওয়ার আগে ২৩ রান করেন তিনি।
আরও পড়ুন>> সিলেটে বাংলাদেশ-আফগানিস্তান ম্যাচে ভারী বৃষ্টির শঙ্কা
ম্যাচের শেষ মুহূর্তে চার ও ছক্কা বৃষ্টিতে দ্রুতগতিতে রান তুলতে থাকেন আজমতউল্লাহ ওমরজাই। তবে সাকিব ঘূর্ণিতে ৩৩ রানেই থামতে হয় তাকে। এরপর উইকেটে আসেন আফগান দলপতি রশিদ খান।
ম্যাচের ১৯.৩ বলে মুস্তাফিজকে বাউন্ডারি হাকিয়ে টি-২০ ক্যারিয়ারের পঞ্চম অর্ধশতক তুলে নেন মোহাম্মদ নবী। এরপর আরো ১ রান যোগ করেন তিনি। ফলে দলের দুঃসময়ে ক্রিজে এসে শেষ পর্যন্ত লড়ে ৫৪ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন নবী। এতে আফগানদের ইনিংস থামে ১৫৪ রানে।
এদিন বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ দুই উইকেট শিকার করেন সাকিব আল হাসান।
ইবাংলা/এসআরএস