সৌম্যর অলরাউন্ড নৈপুণ্য ও জয়ের সেঞ্চুরিতে সেমিতে বাংলাদশ

ইমার্জিং এশিয়া কাপ

ইমার্জিং এশিয়া কাপের সেমিফাইনাল নিশ্চিতে আফগানিস্তানের বিপক্ষে জয় ভিন্ন পথ খোলা ছিল না বাংলাদেশ ‘এ’ দলের। আগে ব্যাট করে পাহাড়সম স্কোর করে জয়ের ভীতটা গড়ে রেখেছিলো বাংলাদেশ। বল হাতে নেমে সেই জয়টা নিশ্চিত করে মাঠ ছেড়েছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা।

বাংলাদেশের করা ৩০৮ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে ২৮৭ রানের বেশি করা সম্ভব হয়নি আফগানদের পক্ষে। আর তাতেই ২১ রানের জয় দিয়ে প্রথম দল হিসেবে এশিয়া কাপের সেমিফাইনাল নিশ্চিত হয় টাইগারদের।

কলোম্বের পি সারা ওভালে টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই বড় রকমের হোঁচট খায় বাংলাদেশ। দলের স্কোরবোর্ডে ৩৪ রান তুলতেই তাদের হারাতে হয় মোহাম্মদ নাঈম, তানজিদ হাসান ও সাইফ হাসানকে।

আরও পড়ুন>>   প্রেম নিয়ে মুখ খুললেন মেহজাবীন

তবে জাকির হোসেন ও মাহমুদুল হাসান জয়ের অবিচ্ছেদ্য ১১৭ রানের জুটিতে ভর করে বিপর্যয় কাটিয়ে লড়াইয়ে ফেরে বাংলাদেশ। দলীয় ১৫১ ও ব্যক্তিগত ৬২ করে জাকির বিদায় নিলেও সৌম্য সরকারকে সঙ্গে নিয়ে সেঞ্চুরি হাঁকান জয়।

যদিও সেঞ্চুরির পরপরই থেমে যেতে হয় তাকে। ১১৪ বলে ১০০ রান করে মোহাম্মদ সালিমের শিকার বনে সাজঘরের পথ ধরেন জয়।

৪২ বলে ৪৮ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে দলকে রান পাহাড়ের দিকে এক পা এগিয়ে দেন সৌম্য। শেষদিকে মাহেদী হাসানের ১৯ বলে ৩৬ রানের টর্ণেডো ও রাকিবুল হাসানের ১২ বলে ১৫ রানের ইনিংসে ভর করে সাত উইকেট হারিয়ে আফগানদের সামনে ৩০৮ রানের পুঁজি দাঁড় করায় বাংলাদেশ।

জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুতে হোঁচট খেলেও দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ঠিকই ঘুরে দাঁড়ায় আফগানরা। কিন্তু টাইগার বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি তারা।

ওপেনার রিয়াজ হাসানের ইনিংস সর্বোচ্চ ৭৮, বাহির শাহের হার না মানা ৫৩, নূর আলি জাদরান ও অধিনায়ক শাহিদুল্লাহের ৪৪ রানে ভর করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ২৮৭ রান তুলতে সক্ষম হয় আফগানরা।

আর সেই সুবাদে ২১ রানের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ।

বাংলাদেশের হয়ে তিনটি উইকেট পান তানজিম হাসান সাকিব। দুটি করে উইকেট পান রাকিবুল হাসান ও সৌম্য সরকার। একটি উইকেট যায় রিপন মণ্ডলের ঝুলিতে।

ইবাংলা/এসআরএস

সেমিতে বাংলাদশ