আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আওয়ামী লীগ সংঘাতের পক্ষপাতি নয়। সংঘাত করে যারা দুর্বল। আওয়ামী লীগতো দুর্বল নয়। সুতরাং আমরা কেন সংঘাত করব? আমরা চাই সংঘাতমুক্ত, শান্তিপূর্ণ, অবাধ, সুষ্ঠু একটা নির্বাচন৷ এটা জাতির কাছে আমাদের প্রতিশ্রুতি।
মঙ্গলবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আমাদের যখন শোকের মাসের কর্মসূচি নিতে যাই, তখন বিএনপি ছাড়া কিছু মিডিয়াও পাল্টাপাল্টি কর্মসূচির কথা বলে। আমরা বলেছি— আমরা নির্বাচন পর্যন্ত মাঠে থাকব। এখানে পাল্টাপাল্টি হলো কোথায়? পাল্টাপাল্টি হলো কীভাবে? ২৪ থেকে ২৭ জুলাই, ২৭ থেকে ৩০ জুলাই এটা আমাদের সুবিধার ব্যাপার। আপনারা ডেকেছেন মহাসমাবেশ আর আমাদেরটা হলো তারুণ্যের সমাবেশ। তারুণ্যের যাত্রা। এখানে পাল্টাপাল্টি হলো কী করে? কোথায় পাল্টাপাল্টি হলো?
আরও পড়ুন>> বাংলাদেশসহ সব দেশেই সুষ্ঠু নির্বাচন হওয়া উচিত: যুক্তরাষ্ট্র
সেতুমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের জনগণ শেখ হাসিনার উন্নয়নের সঙ্গী হিসেবে আছে। দ্রব্যমূল্যের কারণে মানুষ কিছুটা দুঃখ-কষ্টে আছে। এরপরও শেখ হাসিনার সততা ও পরিশ্রমের প্রতি জনগণের আস্থা রয়েছে। এটাই হচ্ছে বাস্তবতা।
ওবায়দুল কাদের আরো বলেন, বিএনপি চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্ত দিয়ে অস্ত্র আনছে। সীমান্তের এপাড় থেকে খবর পাচ্ছি অস্ত্র কিনছে তারা। চাঁপাইনবাবগঞ্জ তাদের অস্ত্র সরবরাহের একটা ঘাঁটি। আগ্নেয়াস্ত্র এনে মজুত করছে। জনশক্তি তাদের কাছে শক্তি নয়। যারা অস্ত্রশক্তি দিয়ে ক্ষমতায় বসতে চায়, জনশক্তির ওপর তাদের আস্থা থাকার কথা না।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ফখরুলের গলায় এখন অনেক পানি। দেখলে মনে হয় ভালো মানুষ, অথচ মুখে এতো বিষ! কী বাজে ভাষায় বক্তৃতা করেন।
দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমাদের আর হেলায় ফেলায় সময় কাটানোর সুযোগ নেই। নিষ্ক্রিয় থাকার সুযোগ নেই। প্রোগ্রাম থাকলে যাব, অন্য ব্যাপারে মাথা ঘামাব না, তাহলে হবে না। সতর্ক থাকতে হবে। নির্বাচন পর্যন্ত।
ওবায়দুল কাদের বলেন, সংঘাত আমরা করব না। মাঠে সক্রিয় থাকব। যারা সংঘাত করতে আসবে, তাদের প্রতিহত করব। তারা (বিএনপি) খালি মাঠ পেলে সংঘত করবে, সে প্রস্তুতি তারা নিচ্ছে।
আওয়ামী লীগের আমলে নির্বাচন ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন হয়েছে এবং স্বচ্ছতা এসেছে জানিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একের পর এক পরিবর্তন এনেছেন, রূপান্তর এনেছেন। যার ফলে নির্বাচন ব্যবস্থা এখন স্বাধীন। এখন নির্বাচনে কারচুপির সুযোগ নেই।
সভায় অন্যদের মধ্যে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও জাতীয় সংসদের উপনেতা বেগম মতিয়া চৌধুরী, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, কামরুল ইসলাম, কর্নেল অবসরপ্রাপ্ত মো. ফারুক খান, ডা. মোস্তাফা জালাল মহিউদ্দিন; যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, বি এম মোজাম্মেল হক, আহমদ হোসেন, সুজিত রায় নন্দী, শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, উপ-দফতর সম্পাদক সায়েম খান, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচি, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফি, সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির, যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিলসহ দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
ইবাংলা/এসআরএস