চট্টগ্রাম-১০ সংসদীয় আসনের প্রয়াত সংসদ সদস্য ডা. আফছারুল আমিনের উত্তরসূরি নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মো. মহিউদ্দিন বাচ্চু। তিনি পেয়ছেন ৫২ হাজার ৯২৩ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির প্রার্থী মো. সামসুল আলম পেয়েছেন এক হাজার ৩৫১ ভোট। ফলে বলা যায়, অনেকটা ‘প্রতিদ্বন্দ্বিতাহীন’ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয় পেয়েছেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী।
রোববার (৩০ জুলাই) সন্ধ্যায় ভোট গণনা শেষে চট্টগ্রাম জিমনেশিয়ামে স্থাপিত নির্বাচন কমিশনের নিয়ন্ত্রণ কক্ষে ভোটের ফলাফল ঘোষণা করেন চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান।
আরও পড়ুন>> চট্টগ্রাম-১০ আসনে ভোটগ্রহণ চলছে
ঘোষিত ফলাফলে দেখা যায়, নৌকার প্রার্থী সর্বমোট ৫২ হাজার ৯২৩ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির প্রার্থী মো. সামসুল আলম লাঙ্গল প্রতীকে পেয়েছেন এক হাজার ৩৫১ ভোট।
বাকি ৪ প্রার্থীর মধ্যে তৃণমূল বিএনপির দীপক কুমার পালিত সোনালী আঁশ প্রতীকে পেয়েছেন ১ হাজার ৩৬ ভোট, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের রশীদ মিয়া ছড়ি প্রতীকে পেয়েছেন ৫৭৯ ভোট, স্বতন্ত্র প্রার্থী আরমান আলী বেলুন প্রতীকে পেয়েছেন ৪৮০ ভোট এবং আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী মনজুরুল ইসলাম ভূঁইয়া রকেট প্রতীকে পেয়েছেন ৩৬৯ ভোট।
এর আগে, রোববার সকাল ৮টায় এই আসনের ১৫৬টি কেন্দ্রের ১ হাজার ২৫১টি বুথে ইভিএমের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। নির্বাচনী এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষা এবং মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্সের সাথে দায়িত্ব পালনসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে আইনানুগ নির্দেশনা প্রদানের জন্য ৮ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং ২ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সার্বক্ষণিক মাঠে ছিলেন।
এই আসনে মোট ভোটার সংখ্যা চার লাখ ৮৮ হাজার ৬৩৮ জন। এর মধ্যে পুরুষ দুই লাখ ৪৮ হাজার ৯৩৮ এবং নারী দুই লাখ ৩৯ হাজার ৬৭৭ জন। এ ছাড়া ২৩ জন ভোটার তৃতীয় লিঙ্গের।
উল্লেখ্য, গত ২ জুন ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান চট্টগ্রাম-১০ আসনের সংসদ সদস্য ডা. আফছারুল আমীন। তিনি দীর্ঘদিন ক্যানসারে আক্রান্ত ছিলেন। তিনি এই আসনে ১৯৯৬ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত পরপর পাঁচবার সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এর মধ্যে ২০০৮, ২০১৪ ও ২০১৮ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
ইবাংলা/এসআরএস