আগামী অক্টোবর-নভেম্বর মাসে ভারতের মাটিতে অনুষ্ঠিত হবে ওয়ানডে বিশ্বকাপ। এ জন্য গত ১৪ জুলাই থেকেই বিশ্ব ভ্রমণ করছে ওয়ানডে বিশ্বকাপের ট্রফি।
এরই অংশ হিসেবে তিন দিনের সফরে আগামী ৭ আগস্ট বাংলাদেশে আসছে বিশ্বকাপের ট্রফি। ট্রফিটি দেশে এসে প্রথম দিন ফটোসেশন হবে গর্বের পদ্মা সেতুতে।
আরও পড়ুন…নোয়াখালীতে দৃষ্টি নন্দন মডেল মসজিদের উদ্বোধন
ওয়ানডে বিশ্বকাপ ট্রফি এখন আছে পাকিস্তানে। সেখান থেকে নেওয়া হবে শ্রীলঙ্কায়। তারপর ৭ আগস্ট বাংলাদেশে আসবে সোনালি রঙের এই ট্রফিটি।
এখানে আগামী ৯ আগস্ট পর্যন্ত ট্রফিটি কবে। এরপর এই ট্রফি ভ্রমণে যাবে কুয়েতে। ৩ সেপ্টেম্বর দক্ষিণ আফ্রিকায় শেষ হবে ট্রফির বিশ্ব ভ্রমণ। সবশেষ তার গন্তব্য ভারতে।
বাংলাদেশে এসে বিশ্বকাপ ট্রফির প্রথম দিন পদ্মা সেতুতে ফটোসেশন হলেও সেখানে তা সমর্থকদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে না। টাইগার ক্রিকেটারদের ফটোসেশনের জন্য মিরপুর শের-ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম এবং সাধারণ দর্শকদের জন্য বসুন্ধরা শপিং কমপ্লেক্সে নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন…জাতীয় দলের ক্যাম্পে ডাক পেলেন যারা
আইসিসির গাইডলাইন অনুযায়ী বিশেষ স্থানে বা স্থাপনার সামনে বিশ্বকাপের ট্রফির ফটোসেশন করা যাবে। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) আগ্রহে এবার পদ্মা সেতুতে হবে ফটোসেশন।
৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের সেতুটি বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং নির্মাণ প্রকল্প হিসেবে বিবেচিত। গতবার ২০১৯ বিশ্বকাপের আগে সংসদ ভবনে হয়েছিল এই ফটোসেশন।
বিসিবির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন চৌধুরী সুজন জানিয়েছেন, ‘আইসিসি সাধারণত সব দেশের আইকনিক লোকেশনকে প্রাধান্য দিয়ে ট্রফি নিয়ে ফটোসেশন করে থাকে।
আরও পড়ুন…প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে পিটার ডি হাসের বৈঠক
সে হিসেবে আমাদের দেশে পদ্মা সেতু হতে পারে আইকনিক স্পট। এটা যেহেতু আমাদের গর্বের বিষয়। সেতুর ওপরে নয়, সেতুকে ব্যাকগ্রাউন্ড করে একটা জায়গা থেকে ছবিটা তোলা হবে। সেই ছবি আইসিসি পরে ব্যবহার করবে।’
আগামী ৫ অক্টোবর শুরু হবে ওয়ানডে বিশ্বকাপের আসর। আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে ফাইনাল ম্যাচ হবে ১৯ নভেম্বর। ভারতের ১০টি শহরের।
১০টি ভেন্যুতে ৪৬ দিনে মোট ৪৮টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। বাংলাদেশের শুরুটা হবে ৭ অক্টোবর। বরফেঘেরা শহর ধর্মশালায় প্রথম ম্যাচে টাইগারদের প্রতিপক্ষ আফগানিস্তান।