রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার খেদারমারা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ ও সেচ্ছাসেবকলীগ নেতাকর্মীদের মারামারিতে উভয় দলের ১২ জন আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে আশংকাজনক ৬ জনকে খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বুধবার (১৬ আগষ্ট) রাতে খেদারমারা ইউনিয়নের দুরছড়ি বাজারে এই মারামারির ঘটনা ঘটে।
বাঘাইছড়ি থানার সার্কেল এসপি ও রাঙামাটির সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আবদুল আওয়াল বলেন ১২ লাখ টাকার একটি যাত্রী ছাউনি স্থাপন নিয়ে খেদারমারা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মদন মল্লিক ও স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক জালাল উদ্দীন এর মধ্যে বিরোধের জেরে এই সংঘর্ষের জেরে এই ঘটনা ঘটে। এতে করে প্রায় ১২ জন আহত হয়।
আরও পড়ুন…দেশের ৮টি শিক্ষা বোর্ডে এইচএসসি পরীক্ষা শুরু
ঘটনার পরপরই বাঘাইছড়ি থানার পুলিশ উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। খেদারমারা ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি গাফফার চৌধুরী বলেন জেলা পরিষদ সদস্য প্রিয়নন্দ চাকমা বাজারে একটি যাত্রী ছাউনি স্থাপনের জন্য বরাদ্দ দেয়াকে কেন্দ্র করে দুই নেতার মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। আর সভাপতির তো নিজস্ব কিছু লোকজন থাকে তারা যখন এগিয়ে আসে তখনই মারামারি শুরু হয়।
মারামারিতে খেদারমারা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মদন মল্লিক, ছাত্রলীগ সভাপতি মাহামুব, আওয়ামীলীগ সদস্য জসিম, ছাত্রলীগ সহসভাপতি রিমন দে, স্বেচ্ছাসেবকলীগ সাংগঠনিক সম্পাদক নারায়ণ চন্দ্র ও তার মা কবিতা রাণী দে, সহ-সভাপতি মো: হাছান,পথচারী আবদুল হামিদ, আইয়ুব আলী আহত হয়। বাঘাইছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার বিশ্বজিৎ দাশ ৬ জনকে খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।