দুই সপ্তাহের সাময়িক শান্তির পরে নতুন করে আবারও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে মণিপুর। সাড়ে তিন মাস ধরে জাতিগত সংঘর্ষে বিধস্ত উত্তর-পূর্ব ভারতের এই রাজ্যটি।
শুক্রবার (১৮ আগস্ট) রাজ্যের উখরুল জেলায় মেইতেই এবং কুকি সম্প্রদায়ের মধ্যে সংঘর্ষে তিনজন নিহত হয়েছেন।
নিহত তিন ব্যক্তির নাম- থাংখোকাই হাওকিপ, জামখোগিন হাওকিপ এবং হলেনসন বেইট।
উখরুলের পুলিশ সুপার নিংশেম ভাসুম বলেছেন, নিহত ব্যক্তিরা গ্রাম পাহারার দায়িত্বে ছিলেন। মিয়ানমার-সংলগ্ন উখরুলের যে গ্রামটিতে তিনজনকে হত্যা করা হয়েছে, সেটি কুকিদের নিয়ন্ত্রণে ছিল।
আরও পড়ুন>> বিকেলে রাজধানীতে পদযাত্রা করবে বিএনপি
তিনি আরও বলেন, প্রায় এক মাস আগে কামজংয়ের আরেকটি কুকি গ্রামে সহিংসতার আরেকটি ঘটনা ঘটেছিল। তবে উখরুল মোটামুটি শান্তই ছিল। আজকের ঘটনা রাজ্যে চলমান জাতিগত সমস্যার সঙ্গে সম্পর্কিত। কিছু সশস্ত্র দুষ্কৃতকারী গ্রামে প্রবেশ করে। যে তিন ব্যক্তি মারা গেছেন, তারা গ্রাম পাহারা দিচ্ছিলেন। দুষ্কৃতকারীরা এই তিন ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা করেন। এলাকা এখন শান্ত, গুলিবর্ষণ বন্ধ হয়েছে, সেনাবাহিনী ও পুলিশ সমন্বিত নিরাপত্তা বাহিনী এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষ্যদর্শীদের বরাতে স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, শুক্রবার ভোর থেকেই উখরুল জেলায় গোলাগুলির শব্দ শোনা যায়। এসময় বেশ কিছু ঘরবাড়ি ভাঙচুরের খবরও পাওয়া গেছে। এরপরই কুকি অধ্যুষিত থোয়াই গ্রামের তিন বাসিন্দা নিখোঁজ হন। পরে ওই তিনজনকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনার পর নতুন করে উত্তাপ ছড়িয়েছে মণিপুরে। নতুন করে যাতে অশান্তি ছড়িয়ে না পড়ে, সেইজন্য জন্য ওই গ্রামে অতিরিক্ত সেনা পাঠানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ৩ মে জাতিগত সহিংসতা শুরু হয় মণিপুরে। চলমান সংঘাতে এরইমধ্যে ১৬০ এর বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে রাজ্যটিতে। ৬০ হাজারের বেশি মানুষ গৃহহীন অবস্থায় উদ্বাস্তু শিবিরে রয়েছেন।
ইবাংলা/এসআরএস