আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা নিয়োগ নীতিমালা নিয়ে বসতে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আগামী সোমবার (২১ আগস্ট) প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের সভাপতিত্বে ভোটগ্রহণ নীতিমালাসহ সাতটি এজেন্ডা নিয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
এর আগে, বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) নির্বাচন কমিশন সচিব মো. জাহাংগীর আলম নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের বলেন, ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের বিষয়ে নীতিমালার খসড়া প্রণয়ন করছি। এটা আগামী কমিশন সভায় উত্থাপন করা হবে। অনুমোদন পেলে তা প্রজ্ঞাপন করে মাঠ পর্যায়ে পাঠিয়ে দেবো।
আরও পড়ুন>> বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের শ্রদ্ধা
ইসি সচিব আরও জানান, রিটার্নিং অফিসার নিয়োগের পরই ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের প্যানেল প্রস্তুত ও তা চূড়ান্ত হবে। কাজগুলো আগে গুছিয়ে রাখা হচ্ছে, ডেটাবেজ করে রাখলে তা সুবিধা হবে। এছাড়া, প্যানেল প্রস্তুত নির্দেশিকা ও নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইন্সটিটিউটের প্রশিক্ষণ বর্ষপঞ্জির খসড়াও কমিশন সভায় উপস্থাপন করা হবে। সেপ্টেম্বর-অক্টোবর থেকে নির্বাচনী কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণ (টিওটি) শুরুর পরিকল্পনা রয়েছে।
ইসি কর্মকর্তারা জানান, প্রতিকেন্দ্রে প্রিসাইডিং কর্মকর্তা একজন, সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা দুইজন এবং ভোটকক্ষ প্রতি ২ জন পোলিং অফিসার মিলিয়ে কেন্দ্রে প্রতি অন্তত ৮ থেকে ১০ জন পোলিং অফিসার প্রয়োজন হয়। এবার জাতীয় নির্বাচনে অতিরিক্ত আরও ৫০ হাজার লোকবল প্রস্তুত রাখতে হবে। সব মিলিয়ে ৭ থেকে ৮ লাখের বেশি ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের জন্য প্রশিক্ষণের বিষয় রয়েছে। ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা হিসাবে নিয়োগে যত সংখ্যক কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষকের প্রয়োজন হবে তার চেয়ে ১০ শতাংশ বেশি লোকবল বাছাই করে প্যানেল প্রস্তুত করতে হয়।
উল্লেখ্য, গত একাদশ সংসদ নির্বাচনেও ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা নিয়োগের প্যানেল প্রস্তুত ও অন্যান্য দায়িত্ব পালনে বিভিন্ন অফিস/প্রতিষ্ঠান থেকে জরুরি ভিত্তিতে কর্মকর্তা-কর্মচারীর তালিকা সংগ্রহ করার জন্য ইসি সচিবালয় অক্টোবরের দিকে মাঠ কর্মকর্তাদের নির্দেশনা পাঠায়। প্যানেলভুক্ত করার জন্য নীতিমালা মেনে নির্ধারিত ছকে তফসিল ঘোষণার আগেই ইসি সচিবালয় ও নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইন্সটিটিউটে পাঠাতে বলা হয়ে থাকে।
ইবাংলা/এসআরএস