নৌকাই যার অস্তিত্ব – সেই কিশোর সামাদ আজাদ

মতিউর রহমান,সরিষাবাড়ী:

নৌকাই যার অস্তিত্বে মিশে আছে, সেই কিশোর সামাদ আজাদ জীবণের শেষ আশা ভরসার প্রতিক নৌকার হাল ধরতে চায়। জয় বাংলা স্লোগান আর জাতির জনক বঙ্গঁবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর প্রতি অকৃত্রিম ভালোবাসা বুকে ধারণ করে জাতির জনকের স্বপ্ন বাস্তবায়নে আওয়ামীলীগের সহযাত্রী হিসেবে নৌকার হাল ধরে দেশ গঠনে অংশীদার হতে চান সেই কিশোর আব্দুস সামাদ আজাদ তারা।

নৌকার মাঝি হওয়ার আশায় সরিষাবাড়ী প্রত্যন্ত অঞ্চলে ব্যাপক গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। জনাব সামাদ আজাদ ১৯৬৯ইং সালে গণআন্দোলনের সময় জাতির জনক বঙ্গঁবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ট্রেনযোগে রাজশাহীর চাপাই নবাবগঞ্জ যাওয়ার পথে জামালপুরের সরিষাবাড়ী জগন্নাথগঞ্জ জেটি ঘাটে যাত্রা বিরতি করেন।

আরও পড়ুন…হত্যা মামলা থেকে অব্যাহতি পেলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান

সে সুবাধে তারুণ্যদিপ্ত টগবগে কিশোর আব্দুস সামামাদ আজাদ তারা(১২) তাঁর সিনিয়র শিক্ষার্থী ভাইদের সাথে জাতির জনক বঙ্গঁবন্ধুর সান্নিধ্য লাভ করেন এবং তাঁর অমেয় বাণী শ্রবণ। সে সময় জাতির জনক পথসভায় সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখছিলেন।

জাতির জনক বঙ্গঁবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর তাজা অমের বাণী আর বজ্র কণ্ঠ কিশোর আজাদকে আলোড়িত করাসহ বক্তব্য শেষে বঙ্গঁবন্ধুর মুখে জয় বাংলা ধ্বনি তাকে আন্দোলিত করে। সে থেকে কিশোর আজাদ জাতির জনকের প্রতি আরও বেশী আকৃষ্ট ও দৃঢ় মনোবলে আওয়ামী লীগের প্রতি অনুরোক্ত হন।

আরও পড়ুন…বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার

সরিষাবাড়ীর আওনা ইউনিয়নে আওয়ামী সম্ভ্রান্ত কৃষক পরিবারে বেড়ে উঠেন আব্দুস সামাদ আজাদ তারা। পিতা মৃত গোলাম মূত্তর্জা। ৭ ভাই ৪ বোনের মধ্যে আব্দুস সামাদ আজাদ তারা ৪র্থ। পিংনা উচ্চ বিদ্যালয় ও সুজাত আলী কলেজে অধ্যরনরত অবস্থায় ১৯৭৩/৭৪/৭৬ই সালে ছাত্র সংসদের নেতৃত্ব দেন ও মূখ্য ভূমিকা পালন করেন।

আওনা ইউনিয়ন ও সরিষাবাড়ী উপজেলা ছাত্রলীগে নেতৃত্ব দিয়ে ছাত্রলীগকে সুসংগঠিত করেন।১৯৭৮ সালে বিএনপি সরকারের আমলে নির্বাচনে অনিয়মের প্রতিবাদ করায় সরকারের পক্ষ থেকে হুলিয়া জারি হলে বড় ভাইয়ের সাথে আমেরিকা চলে যান বলে এক সাক্ষাতকারে তিনি জানান।

আরও পড়ুন…নোয়াখালীতে ৬০টি পাসপোর্টসহ ১৭ দালাল গ্রেফতার

১৯৮২ইং সালে পশ্চিম জার্মানী মানহাইম সিটি আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন।১৯৮৪/৮৫ইং সালে যুক্তরাষ্ট্র শহিদ মনসুর আলী স্মৃতি পরিষদের সভাপতি নির্বাচিত হন। যুক্তরাষ্ট্ট ও জার্মানী থেকে উচ্চতর ডিগ্রী করে প্রায় ১০ বছর যাবৎ যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন শেষে মাননীয় প্রধান মন্ত্রী ও আলীগের কর্ণধার শেখ হাসিনার অনুকম্পায় সাধারণ সম্পাদক হিসেবে আসিন হন।

ব্যক্তি জীবণে আমেরিকায় তিনি রিয়েল ষ্ট্যাট ব্যবসায়ী। আব্দুস সামাদ আজাদ তারা এর তিন ভাই আমেরিকা প্রবাসি ব্যবসায়ী। ৩য় ভাই খালেকুজ্জামান স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের সাবেক সচিব ছিলেন। আওয়ামীলীগ পাগল সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারের সন্তান আব্দুস সামাদ আজাদ তারা।

আরও পড়ুন…রামপালের ৩১ হাজার টন কয়লা নিয়ে মোংলায় জাহাজ

সাক্ষাতকারে তাঁর জীবণের ঘটনাবলী তুলে ধরে উল্লেখিত স্মৃতিচারণ ও বঙ্গঁবন্ধুর আদর্শের প্রতি অকুন্ঠশ্রদ্ধার কথা ব্যক্ত করেন। তিনি জানান ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার দলের সভাপতি শেখ হাসিনাকে দেশে আসার নিষেধাজ্ঞা দিলে সকল বাধা উপেক্ষা করে শেখ হাসিনা স্বদেশের মাটিতে প্রত্যাবর্তনের সিদ্ধান্ত নেন।

সে সময় জীবণের ঝুকি নিয়ে আব্দুস সামাদ আজাদ তারা অন্যনান্য নেতৃবৃন্দের সাথে শেখ হাসিনার সফর সঙ্গিঁ হয়ে দেশে আসেন। এ ছাড়াও দল বা শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে বিরোধী দলীয় বা যে কোন অপশক্তির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে বিদেশের মাটিতে গুরুত্বপূর্ণ দপ্তর গুলোতে স্মারকলিপি প্রেরণসহ দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন বলে জানান।

আরও পড়ুন…রাজধানীতে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীসহ দুইজনের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

আব্দুস সামাদ আজাদ তারা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এর ডিজিটাল বাংলা গড়ে তুলতে ও জাতির জনক বঙ্গঁবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর আদর্শকে বাস্তবায়ন করে সর্বক্ষেত্রে অবদান রাখার প্রত্যাশায় নৌকার মনেনয়ন প্রত্যাশি আব্দুস সামাদ আজাদ তারা ব্যাপক গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন।

ইবাংলা/ জেএন

অস্তিত্বনৌকাইযার