দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন ঘিরে প্রতিবার বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে এক ধরনের উন্মাদনা দেখা যেত। কারণ, এই দিনকে ঘিরে একাধিক কর্মসূচিতে সরাসরি উপস্থিত থাকতেন দলীয় প্রধান বেগম খালেদা জিয়া। ফলে তাকে কাছ থেকে দেখার সুযোগ পেতেন নেতাকর্মীরা। সেই সঙ্গে দলের শীর্ষ নেতারাও এসব আয়োজনে অংশ নিতেন।
তবে গত কয়েকবছর ধরে দলীয় প্রধানকে পাচ্ছে না কর্মীরা। এরমধ্যে আবার দলের মহাসচিবসহ শীর্ষ পর্যায়ের বেশিরভাগ নেতাকে এবারের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে পাবেন না তারা। কারণ, একাধিক নেতা বর্তমানে বিদেশে রয়েছেন। সবমিলিয়ে তাই ভিন্ন আবহে আগামীকাল শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর) দলের ৪৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করতে যাচ্ছে বিএনপি।
আরও পড়ুন>> শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাংলাদেশের সম্ভাব্য একাদশ
বর্তমানে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া শর্তসাপেক্ষে মুক্তিপ্রাপ্ত হয়ে গুলশানের বাসায় অবস্থান করছেন। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আছেন লন্ডনে। এছাড়া দেশের বাইরে রয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ছাড়াও স্থায়ী কমিটির সিনিয়র দুই সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন ও মির্জা আব্বাস।
এদিকে, স্থায়ী কমিটির সালাহউদ্দিন আহমেদ অনেকদিন ধরেই অবস্থান করছেন ভারতে। ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুও দেশের বাইরে রয়েছেন।
অবশ্য নেতারা না থাকলেও আয়োজনে কমতি নেই। ১ সেপ্টেম্বর দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আজ বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) বেলা ৩টায় রাজধানীর গুলিস্তানে মহানগর নাট্যমঞ্চে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। এতে প্রধান অতিথি থাকবেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
অনুষ্ঠেয় ওই সভায় সভাপতিত্ব করবেন জাতীয় স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান এবং বক্তব্য রাখবেন দলের জাতীয় ও কেন্দ্রীয় নেতারাসহ বরেণ্য বুদ্ধিজীবীরা।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কর্মসূচির বিষয়ে বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, আগামীকাল ১ সেপ্টেম্বর (শুক্রবার) সকাল সাড়ে ১০টায় সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের (বীর উত্তম) কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও ফাতেহা পাঠ করা হবে। অনুষ্ঠানে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্যরাসহ কেন্দ্রীয় ও অঙ্গসংগঠনের নেতারা উপস্থিত থাকবেন।
এছাড়াও একই দিন বেলা ৩টায় বিএনপির উদ্যোগে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে বর্ণাঢ্য র্যালি অনুষ্ঠিত হবে। র্যালিটি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে শুরু হয়ে ফকিরাপুল মোড়, নটরডেম কলেজ, শাপলা চত্বর, ইত্তেফাক মোড় হয়ে রাজধানী মার্কেটে গিয়ে শেষ হবে। যেখানে দলের শীর্ষ পর্যায়ের নেতারাসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী, সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা অংশগ্রহণ করবেন।
ইবাংলা/এসআরএস