- একেকটি ট্রলারে ১৪ থেকে ১৮ জন জেলে যায় এবং ১০ থেকে ১২ দিন সাগরে মাছ ধরে ফিরে আসে। একেক ট্রিপে খরচ হয় এক থেকে দেড় লাখ টাকা। জেলারা হাসি মুখে সাগরে রুপালি ইলিশের সন্ধানে গিয়ে কিনারে ফিরে মলিন মুখ নিয়ে।
আলীপুর বৃহত্তর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রর ট্রলার মালিক ফারুক আহমেদ জানায়, অবরোধের পর আমার ট্রলার প্রায় দেড় লাখ টাকা খরচ করে সাগরে পাঠিয়েছিলাম। হাতেগোনা কয়েকটি মাছ পেয়েছি যাতে বাজার খরচও হবে না। অনেক ট্রলারের জেলেরা ধার -দেনা করে সাগরে মাছ ধরতে গেছে। মাছ না পাওয়ায় কী করে এই পাওনা টাকা শোধ করবে।
চলতি বছরের প্রথম মৌসুমে জেলেরা প্রত্যাশা অনুযায়ী মাছ পায়নি। এখন শেষ মৌসুমেও মাছ না পাওয়ায় তাদের সামনে চলে এসেছে দুর্বিষহ জীবন।
ধুলাষারের জেলে মোঃবাসার উদ্দিন বলেন, নিষেধাজ্ঞা শেষে মনে করেছিলাম অনেক ইলিশ পাব কিন্তু সাগরে ইলিশ নেই বললেই চলে। অন্যান্য বছর অবরোধ শেষে অনেক ইলিশ ধরা পড়েছে। ইলিশের আড়ৎগুলো ছিল মাছে ভরপুর। জেলে, আড়ৎদার, শ্রমিক, পাইকারসহ সবার মুখে হাসি ছিল। এবারে ইলিশ না পাওয়ায় হাজার হাজার জেলে পরিবারের জীবন কাটছে কষ্টের মধ্যে। মহাজনের দাদন নিয়ে মহাজনের টাকা শোধ করার চিন্তায় দিশাহারা জেলেরা।
- মা ইলিশ রক্ষায় ২২ দিন সরকারি নিষেধাজ্ঞা শেষে সোমবার মধ্য রাত থেকে বঙ্গোগসাগর, পায়রা, বিষখালী, বলেশ্বরসহ বিভিন্ন নদীতে জেলেরা মাছ ধরতে যায় কিন্তু এবারে তেমন ইলিশ পাচ্ছে না। আলিপুর-মহিপুর মৎস অবতারণ কেন্দ্র ইলিশ নেই বললেই চলে। আলিপুর-মহিপুর মৎস অবতারণ কেন্দ্র থেকে বরিশাল, খুলনা, যশোর, ফরিদপুর, পাবনা, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় পরিবহন যোগে মাছ সরবরাহ হত।
আলিপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রর ব্যবসায়ী এজাজ মোল্লা জানান, এরকম ইলিশ শূন্য আমি কখনই দেখিনি,ইলিশ না থাকলে ব্যবসায় হয় না বললেই চলে।অন্য অন্য মাছের তুলনায় ইলিশ মাছের চাহিদা একটু বেশি থাকে তাই লাভও বেশি।মাছ কম হওয়ায় লেভারদের বেতন টাকা দিতেই হিমসিম খেতে হবে,লাভতো দূরে থাক। এমন কথা বলেন চালানী ব্যবসায়ি নান্না, ওবাইদুল,ছালাউদ্দিন ও মোঃখলিল ঘরামিসহ আরও অনেকে।
আলিপুর মৎস্য বন্দরের সভাপতি মোঃ আনছান উদ্দিন মোল্লা জানান, জেলেরা ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা পালন করেছে।বঙ্গোপসাগরে ইলিশ একটু কম দেখা মিলছে,সামনে দিকে বেশী মাছ পাওয়ার সম্ভবনা রয়েছে।বেহুন্দি জাল, ট্রলিং এরা মাছের পোনা সহ সকল মাছ ধংস করছে।
ইবাংলা/এইচ/০৬ নভেম্বর, ২০২১