জি-২০ সম্মেলনে থাকবেন না জিনপিং, হতাশ বাইডেন

ভারতে আসন্ন জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে থাকবেন না চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। এমন খবরে হতাশা প্রকাশ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। সোমবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

১৯টি দেশ এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত জি২০। আগামী ৯ এবং ১০ সেপ্টেম্বর ভারতের রাজধানী দিল্লিতে জি-২০ সদস্য দেশগুলোর এই শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। সম্মেলনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন থেকে শুরু করে সদস্য, পর্যবেক্ষক ও আমন্ত্রিত দেশের শীর্ষনেতারা উপস্থিত হবেন।

জি-২০ সম্মেলনে শি জিনপিংয়ের না থাকার বিষয়ে রোববার হতাশা প্রকাশ করে বাইডেন বলেন, ‘তাকে (শি জিনপিং) দেখার জন্যই (ভারতে) যাচ্ছেন’ তিনি।

আরও পড়ুন>> ঢাকায় মার্কিন উপসহকারী মন্ত্রী মিরা রেজনিক

সাংবাদিকদের সাথে কথা বলার সময় বাইডেন বলেন, ‘আমি হতাশ … তবে আমি তাকে দেখতেই সেখানে যাচ্ছি’। বাইডেন অবশ্য এর বেশি বিস্তারিত আর কিছু বলেননি।

বেশ কয়েকটি সূত্রের বরাত দিয়ে রয়টার্স গত বৃহস্পতিবার জানায়, ভারতে অনুষ্ঠিতব্য জি-২০ সম্মেলন সম্ভবত এড়িয়ে যেতে পারেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। অবশ্য জিনপিং না আসলেও সম্মেলনে চীনের পক্ষে দেশটির প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াং প্রতিনিধিত্ব করবেন।

জি-২০ সম্মেলনে যোগ দেওয়ার জন্য আগামী ৭-১০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ভারত সফর করবেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এরপর ভিয়েতনাম সফর করবেন তিনি। মূলত এশিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক জোরদার করতে চায় বাইডেন প্রশাসন এবং এই কারণে আসন্ন এই সফর বেশ গুরুত্বপূর্ণ।

জি-২০ নেতাদের শীর্ষ সম্মেলনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের যোগ দেওয়ার কথা আগেই জানা ছিল। আর এই কারণে ভারতে এই শীর্ষ সম্মেলনটিকে এমন একটি স্থান হিসাবে দেখা হয়েছিল যেখানে মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে শি জিনপিং দেখা করতে পারেন বলে মনে করা হয়েছিল।

কারণ বৈশ্বিক এই দুই পরাশক্তির মধ্যে বাণিজ্য এবং ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনাসহ নানা কারণে অস্থিতিশীলতা থাকলেও উভয় দেশ সেই সম্পর্ক স্থিতিশীল করতে চায়। এছাড়া গত বছরের নভেম্বরে ইন্দোনেশিয়ার বালিতে জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে বাইডেনের সঙ্গে দেখা করেছিলেন শি জিনপিং। মূলত সেটিই ছিল বাইডেন ও জিনপিংয়ের সর্বশেষ সাক্ষাৎ।

চীন ও ভারতের কূটনৈতিক সম্পর্ক গত কয়েক বছরে বেশ অবনতি হয়েছে সীমান্ত ইস্যুতে। হিমালয় অঞ্চলে সীমান্ত ঘেঁষে সামরিক অবকাঠামো স্থাপনে সেনাদের মধ্যে উত্তেজনা লেগেই আছে। অরুণাচল প্রদেশ ইস্যুতেও সম্পর্ক ফাটল ধরেছে দিল্লি-বেইজিংয়ের। সীমান্ত প্রসঙ্গে দুদেশের শীর্ষ পর্যায়ের কর্তারা কয়েক দফা আলোচনায় বসলেও খুব একটা কাজ হয়নি।

ইবাংলা/এসআরএস

জিনপিংবাইডেন