ইতোমধ্যে গ্রুপ ‘এ’ থেকে পাকিস্তান ও ভারত সুপার ফোর নিশ্চিত করেছে। অন্যদিকে গ্রুপ ‘বি’ থেকে প্রথম দল হিসেবে বাংলাদেশ সুপার ফোর নিশ্চিত করেছে। দ্বিতীয় দল হিসেবে কারা তাদের সঙ্গী হবে তা নির্ধারণ হবে। বাংলাদেশের বিপক্ষে ৮৯ রানে হেরে যাওয়ায় সুপার ফোরে আফগানিস্তানের জায়গা করে নেওয়াটা কিছুটা অনিশ্চয়তায় পড়ে যায়। কেননা, শেষ চারে নাম লেখাতে হলে আফগানদের যেতে হচ্ছে কঠিন সমীকরণের মধ্য দিয়ে।
আরও পড়ুন…মহানবী সা.-এর গুণবাচক নাম সমূহ
ম্যাচের আগে সমীকরণটা ছিল এ রকম- আফগানরা যদি প্রথমে ব্যাট করেন, তাহলে অবশ্যই ২৭৫ বা তার বেশি রান করতে হবে। এরপর লক্ষ্য তাড়ায় লঙ্কানদের অন্তত ৬৮ রান পেছনে অলআউট করতে হবে। অর্থাৎ যদি প্রথমে তারা ২৭৫ রান করেন, তাহলে দাসুন শানাকাদের ২০৭ রানের আগেই থামাতে হবে।
আর প্রথমে শ্রীলঙ্কা ব্যাট করলে আফগানদের জন্য সমীকরণটা আরেকটু জটিল হবে। লঙ্কানরা ব্যাটিংয়ে যা সংগ্রহ করবে তা অন্তত ১৫ ওভার থাকতে অর্থাৎ ৩৫ ওভার বা তার আগেই পেরোতে হবে আফগানদের। সেক্ষেত্রে ২ পয়েন্ট সংগ্রহ করা শ্রীলঙ্কাকে পেছনে ফেলতে পারবে আফগানিস্তান।
আরও পড়ুন…সেতু নির্মাণে ভুল নকশায় প্রধানমন্ত্রীর ক্ষোভ
কিন্তু এগুলো বলা হয়েছিল একটা ধারণা পাওয়ার জন্য। সমীকরণ শেষ পর্যন্ত কোথায় গিয়ে দাঁড়ায় সেটি একমাত্র নিশ্চিতভাবে জানা যেত ম্যাচের দিনই। এক ইনিংস পরেই।
লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল শ্রীলঙ্কা। প্রথম ইনিংস শেষে বেরিয়ে এলো সুপার ফোর নিশ্চিতে আফগানিস্তানকে মেলাতে হবে যেই সমীকরণটি।
নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ২৯১ রানের পুঁজি দাঁড় করিয়েছে শ্রীলঙ্কা। সেই মোতাবেক জয়ের জন্য আফগানিস্তানকে করতে হবে ২৯২ রান।
তবে শ্রীলঙ্কাকে হঠিয়ে সুপার ফোরে নিজেদের অবস্থান নিশ্চিত করতে লঙ্কানদের ছুঁড়ে দেয়া এই লক্ষ্যে আফগানদের পৌঁছাতে হবে ৩৭.১ ওভারের ভেতর। অর্থাৎ ২৯২ রান আফগানদের করতে হবে ২২৩ বলের ভেতর। এই লক্ষ্য ৩৭.১ ওভারে টপকাতে হলে ওভারপ্রতি গুরবাজ-শাহিদিদের নিতে হবে প্রায় আট রান করে।
আরও পড়ুন…ইবি রেজিস্ট্রারকে মেইল করে র্যাগিংয়ের অভিযোগ, আতঙ্কিত বাবা
যদি এই ওভারের ভেতর আফগানরা ম্যাচ বের করে আনতে সক্ষম হয়, তাহলে শ্রীলঙ্কাকে ছিটকে দিয়ে এশিয়া কাপে বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানের সঙ্গী হবে আফগানিস্তান।