ড. ইউনূসের বিপক্ষে বিবৃতি দিতে অস্বীকৃতির কথা গণমাধ্যমে জানানো এবং ড. মুহাম্মদ ইউনূস বিচারিক হয়রানির শিকার হচ্ছেন বলে মন্তব্য করার জেরে সরকারের আইন কর্মকর্তা ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এমরান আহম্মদ ভূঁইয়াকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউডায় সাংবাদিকদের এ কথা জানান আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আশঙ্কা ব্যক্ত করে বলেছেন, হাজারো নেতাকর্মীরা প্রতিদিন আদালতের বারান্দায় ঘুরছে। এক দেড় মাসের মধ্যে হয়তো আমাকেও জেলে যেতে হতে পারে এমন মন্তব্যের জবাবে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছন, আমি এখন পর্যন্ত জানি না যে, ওনি কোন অপরাধ করেছেন। কেন ওনাকে জেলে যেতে হবে, তবে ওনি যদি কোন অপরাধ করে থাকেন তাহলে জেলে যেতে হবে।
আরও পড়ুন>> জি-২০ সম্মেলনে যোগ দিতে নয়াদিল্লির পথে প্রধানমন্ত্রী
এর আগে, আইন মন্ত্রণালয় থেকে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এমরান আহম্মদ ভূঁইয়াকে বরখাস্তের প্রক্রিয়া শুরু করতে সলিসিটর উইংকে নির্দেশ দেওয়া হয়। সে অনুযায়ী বরখাস্তের প্রক্রিয়াও শুরু করা হয়েছিলো।
গত ৪ সেপ্টেম্বর দুপুরে আদালত প্রাঙ্গণে গণমাধ্যমে দেওয়া এক বক্তব্যে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এমরান আহম্মদ ভূঁইয়া বলেন, নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস একজন সম্মানিত ব্যক্তি, তিনি বিচারিক হয়রানির শিকার হচ্ছেন বলে আমি মনে করি।
তিনি আরও বলেন, ড. ইউনূসের পক্ষে ১৬০ জন বিদেশি ব্যক্তি বিবৃতি দিয়েছেন। তাদের মধ্যে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা, হিলারি ক্লিনটনও রয়েছেন। ওই বিবৃতির বিরুদ্ধে অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয় থেকে প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি দেওয়ার কথা রয়েছে। আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আমি ড. ইউনূসের বিপক্ষে বিবৃতিতে স্বাক্ষর করব না। এ ছাড়া ড. ইউনূসের পক্ষে বিদেশিরা যে বিবৃতি দিয়েছেন; আমি তাদের সঙ্গে একমত।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি বারাক ওবামা ও হিলারি ক্লিনটনসহ বিশ্বের ১৬০ জন ব্যক্তি ড. ইউনূসের পক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে একটি খোলাচিঠি দিয়েছেন। ১০০ জনের বেশি নোবেলজয়ীর দেওয়া ওই চিঠিতে ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে হওয়া মামলার বিচারকাজ স্থগিত করার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে আহ্বান জানানো হয়। একই সঙ্গে চিঠিতে বিগত দুটি নির্বাচনের বৈধতার সংকট ছিল জানিয়ে সামনের নির্বাচনের দিকে তাদের নজর রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়।
এদিকে এই চিঠির প্রতিবাদ জানিয়ে গত কয়েক দিনে পাল্টা বিবৃতি দিয়েছেন দেশের বিশিষ্ট নাগরিক, বুদ্ধিজীবী, পেশাজীবীসহ দেশের ৫০ জন সম্পাদক।
ইবাংলা/এসআরএস