বিপদে পড়লে মানুষ হতবিহ্বল হয়ে যায়। মানুষের চিন্তা-ভাবনা বিক্ষিপ্ত হয়ে পড়ে। দিশেহারা হয়ে কী করতে হবে সেটাও ভুলে যায়। বিপদে পড়লে আল্লাহর কাছে সাহায্য চাইতে হয়। তিনিই একমাত্র উদ্ধারকারী। তিনি চাইলে মুহূর্তেই বিপদ থেকে মুক্তি দিতে পারেন।
এ সম্পর্কে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, দোয়া মুমিনের হাতিয়ার, দ্বীনের স্তম্ভ ও আসমান-জমিনের নুর। অন্য বর্ণনায় এসেছে, দোয়া হলো মুমিনের অস্ত্র। (মুসলিম: ৪৬৫)
হাদিস শরিফে বিপদমুক্তির যেসব দোয়া রয়েছে ওইসব দোয়া আমল করলে আশা করা যায় আল্লাহ তায়ালার রহমতে শত বিপদেও আমরা নিরাপদ থাকব।
সুনানে আবু দাউদে বর্ণিত হয়েছে, রাসুল (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি সকালে তিনবার এবং সন্ধ্যায় তিনবার এই দোয়া পড়বে, আল্লাহ তায়ালার দয়ায় সে সব ধরনের বিপদ-আপদ থেকে হেফাজত থাকবে। (তিরমিজি ২/১৭৬)
বিসমিল্লাহিল্লাজি লা ইয়াদুররু মাআসমিহি শাইউন ফিল আরদি ওয়ালা ফিস সামাই, ওয়া হুয়াস সামিউল আলিম।’
অর্থ: আল্লাহ তায়ালার নামে আমার সকাল-সন্ধ্যা শুরু হলো। যার নামের বরকতে পৃথিবী এবং পৃথিবীর বাইরের কিছুই কোনও ক্ষতি করতে পারে না। তিনি সব শোনেন এবং সব জানেন।’ (আবু দাউদ:৫০৯০,তিরমিজি: ৩৩৮৮)
তবে সুনির্দিষ্ট কোনও সুরার কথা রাসুলুল্লাহ (সা.) বলে যাননি যে, এই সুরা পড়লে রোগ নিরাময় হবে। অতএব বেশি বেশি কুরআন তেলাওয়াত করে আল্লাহর কাছে দোয়া করুন, দেখবেন যে আল্লাহ সুবাহানাহুতায়ালা রোগ নিরাময়ের ব্যবস্থা করে দিচ্ছেন।