ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার পুরো রাষ্ট্র ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছে, গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, ‘আজকে আমরা রাস্তায় নেমেছি এই ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে। দেশের স্বাস্থ্য ও শিক্ষা ব্যবস্থাসহ সবকিছুই এই সরকার ধ্বংস করেছে। এটা পরিষ্কার যে, সরকার রাষ্ট্র চালাতে সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ। এ সরকারের হাত থেকে মুক্তি পেতে এখনই সবাইকে সর্বশক্তি নিয়ে মাঠে নামতে হবে।
শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপি আয়োজিত আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে বিক্ষোভ-সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন। সরকারের পদত্যাগসহ এক দফা দাবিতে এবং নেতা-কর্মীদের ‘মিথ্যা’ মামলায় সাজা দেয়ার প্রতিবাদে এই সমাবেশ করে বিএনপি।
আরও পড়ুন>> একাত্তরের পরাজিত শক্তি দেশের বিজয়ের ইতিহাস মুছে দিয়েছিল: প্রধানমন্ত্রী
নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা ও সাজা দেয়ার প্রসঙ্গ টেনে ফখরুল বলেন, আগামী নির্বাচনে বিরোধী দল তথা বিএনপির নেতারা যাতে নির্বাচনে অংশ নিতে না পারে সেজন্য মিথ্যা মামলা দিয়ে তড়িঘড়ি করে সাজা দেয়া হচ্ছে। কিন্তু মামলা ও সাজা দিয়ে এই আন্দোলন দমিয়ে রাখা যাবে না। দেশের জনগণ সরকারের বিরুদ্ধে গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার ফিরিয়ে পেতে মাঠে নেমেছে।
তিনি বলেন, সরকার জনগণকে বোকা বানাতে চায়। আজকে দ্রব্যমূল্যের এত ঊর্ধ্বগতিতে মানুষের ঘরে চাল নাই, ডাল নাই, তেল নাই। এই দিকে সরকারের কোনো খেয়াল নাই। সরকারের খেয়াল একটাই কিভাবে ক্ষমতায় যেতে হবে। এই দেশকে শোষণ করতে হবে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যেভাবে পার বিএনপি নেতাকর্মীদের নামে মিথ্যা মামলা দাও। তাদের গ্রেফতার করে দ্রুত আইনে সাজার ব্যবস্থা কর।
ফখরুল বলেন, তাই অবিলম্বে এই সরকারকে বলব, সংসদকে ভেঙে দিন। নিরপেক্ষ ও নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দিন। কিন্তু তারা জানেন, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিলে তারা ১০টি আসনও পাবে না। এ কারণে তারা আবারও দলীয় সরকারের অধীনে অবৈধভাবে নির্বাচন করতে চায়।
ইবাংলা/এসআরএস