দেশে সুষ্ঠু নির্বাচন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের চরম শত্রু বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, মানবাধিকারের এবং গণতন্ত্রের কথা বললে আওয়ামী লীগ রিয়্যাক্ট করে।
দেশে সুষ্ঠু নির্বাচন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের চরম শত্রু বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, মানবাধিকারের এবং গণতন্ত্রের কথা বললে আওয়ামী লীগ রিয়্যাক্ট করে। কেন করে? কারণ তারা তো এসব করেছেন।
আরও পড়ুন…সুইস এনজিও’র ১৮ কর্মী গ্রেফতার
তারা যদি এই কাজগুলো না করতেন তাহলে প্রতিক্রিয়া হবে কেন? আমরা যদি মানবাধিকারের কথা বলি তাহলে তারা প্রচণ্ড রেগে যায়, তা বলা যাবে না! সুষ্ঠু নির্বাচন আওয়ামী লীগের চরম শত্রু।
শনিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান এবং সাবেক উপ-প্রধানমন্ত্রী শাহ মোয়াজ্জেম হোসেনের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব বলেন, সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন আওয়ামী লীগের চরম শত্রুপক্ষ। এটার বিরুদ্ধে কথা বললেই তার বিচার শুরু হয়ে যাবে আদালতে। গ্রেপ্তার হবেন এবং মামলা হবে।
শেখ হাসিনা এবং তার সরকার যদি নির্বাচিত হতো তাহলে তারা একটা সার্ভে করতেন। যে খালেদা জিয়া ও ড. ইউনূসসহ যাদের নামে মামলা দিয়েছেন এতে জনগণ আপনার পক্ষে না বিপক্ষে। তিনি তো তা করবেন না, তিনি সার্ভে বিশ্বাস করেন না। গণতন্ত্রের কোনো প্রথা পদ্ধতি তিনি বিশ্বাস করেন না।
জেলখানায় বিনা চিকিৎসায় সরকার বিএনপির নেতাকর্মীদের হত্যা করছে এমন মন্তব্য করে রিজভী বলেন, জেলখানায় একটার পর একটা বিএনপি নেতা মারা যাচ্ছেন বিনা চিকিৎসায়। হিটলারের ক্যাম্পে যে কায়দায় মানুষ মারা হয়েছে, বিএনপি নেতারা একইভাবে জেলখানায় মারা যাচ্ছে।
আরও পড়ুন…তবে কি ‘ পরিচালককেই বিয়ে করছেন কীর্তি?
এখন শেখ হাসিনার টার্গেট ওপরের দিকে। তিনি নির্বাচনকে নিবিঘ্ন করতে চান। এই কারণে তিনি এখন মরণ খেলায় নেমেছেন। কিন্তু এখন আর তিনি তা পারবেন না। কারণ যারা গণতন্ত্র বিশ্বাস করে তারা একযোগে রাস্তায় নেমে অবরোধ করে এ সরকারকে রুখে দেবে। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন বিএনপির স্বেচ্ছাসেবকবিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু।