ধুলোবালির কারণে বিষাক্ত হয়ে উঠছে রাজধানীর গাবতলী ও আমিন বাজারের বাতাস। অবস্থা এতটাই ভয়াবহ যে, দূষণের ফলে কখনও কখনও ভরদুপুরকেও মেঘাচ্ছন্ন মনে হয়।
যেন ধোঁয়ায় ছেয়ে গেছে পুরো রাজধানী। এতে ভোগান্তিতে সাধারণ মানুষ। দূষিত এই এলাকায় দায়িত্ব পালন করতে এসে শ্বাসকষ্টসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন ট্রাফিক সদস্যরাও।
আরও পড়ুন…মধ্যরাতে সেনাক্যাম্প লক্ষ্য করে উপজাতীয় সন্ত্রাসীদের ব্রাশফায়ার
গাবতলী এলাকাটি ক্রমেই বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়ছে। বাতাসে সিমেন্টের গন্ধ আর ধুলোবালির কারণে বায়ু দূষণের মাত্রা বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে বহু আগেই।
ফলে শ্বাসকষ্ট, সর্দি-কাশিসহ নানান রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন এলাকাবাসীর অনেকে।আশেপাশের কৃষি জমিতে ফসলের বর্জ্য পোড়ানোর কারণে বায়ু দূষণ বেড়েছে।প্রতি বছর সেপ্টেবরের শেষে নতুন ফসল ওঠার সময় এসব বর্জ্য পোড়ানো হয় এতে পরিস্থিতি বেশি খারাপ হয় ।
স্থানীয়রা জানান, গাবতলীতে সবসময়ই ধুলো থাকে। এই ধুলোবালির কারণে আমাদের সবারই সমস্যা হয়। এর কারণে সর্দি-এলার্জিসহ নানান রোগে আক্রান্ত হচ্ছি আমরা। গাবতলী এলাকায় ধুলো অতিরিক্ত।
বায়ু দূষণের মূল কেন্দ্র গাবতলী গরুর হাট এলাকায় দায়িত্ব পালন করতে এসে অসুস্থ হয়ে পড়ছে ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরাও। পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ যে মাস্ক ব্যবহার করেও শেষ রক্ষা হচ্ছে না।
ট্রাফিক সদস্য প্রল্লাদ সরকার বলেন, গাবতলীতে ধুলোবালি বেশি। মাস্ক পরে আমাদের ডিউটি করতে হয়। মাস্ক না পরলে সর্দি-কাশি ও এলার্জি দেখা দেয়।
ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্ট ফয়সাল আহমেদ বলেন, ধুলোবালির কারণে অনেক সময় আমাদের শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। সর্দি-কাশি দেখা দেয় ও এলার্জি শুরু হয়।
আরও পড়ুন…শিশুদের আকিকার গুরুত্ব ও নিয়ম কানুন
এ বিষয়ে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৯নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মুজিব সারোয়ার মাসুম বলেন, বায়ু দূষণের কারণ হলো বালুর অসংখ্য টিলা ও সিমেন্ট নামানোর ঘাট। দ্রুত সময়ের মধ্যেই এগুলো অপসারণ করা হবে। তবে, শুধু বালির টিলা অপসারণই সমাধান আনতে পারবে না।