বাংলাদেশকে ৭ উইকেটে হারিয়ে নিউজিল্যান্ডের সিরিজ জয়

সিরিজে সমতা ফেরানোর মিশনে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তৃতীয় এবং শেষ ওয়ানডেতে খুব একটা শক্ত ভীত গড়তে পারেনি টাইগাররা। আগে ব্যাট করতে নেমে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে লাল-সবুজ দল। অভিষিক্ত অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর ৭৬ রানের ইনিংসে শেষ পর্যন্ত ১৭১ রানে থামে টাইগাররা। জবাবে ব্যাট করতে নেমে কিউইরা লক্ষ্য পেরিয়ে গেছে ৯১ বল আর ৭ উইকেট হাতে রেখেই। এতে ২-০ ব্যবধানে সিরিজ জিতে নিয়েছে সফরকারীরা।

বাংলাদেশের ১৭২ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালোই করেছিলেন দুই কিউই ওপেনার ফিন অ্যালেন এবং উইল ইয়াং। দুজন মিলে উদ্বোধনী জুটিতে যোগ করেন ৪৯ রান।

এরপর দশম ওভারে জোড়া আঘাত হানেন টাইগার পেসার শরিফুল ইসলাম। তাঁর বলে ২৬ বলে ২৮ রান করে সাজঘরে ফিরেন অ্যালেন। পরের বলেই বোল্ড হন ডিন ফক্সক্রফট।

ফলে ভালো শুরুর পরও পরপর দুই বলে উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে নিউজিল্যান্ড। তবে পরে সে চাপ ভালোই সামলেছেন ইয়াং এবং হেনরি নিকোলস। দুজন মিলে দেখেশুনে ব্যাট চালিয়ে দলকে নিয়ে যান জয়ের দিকে।

আরও পড়ুন>> ভিসানীতি পোশাক রপ্তানিতে প্রভাব পড়বে না: বিজিএমইএ

নিকোলসের সঙ্গে জুটি গড়ে ওপেনার উয়াং স্কোরবোর্ডে যোগ করেন ৮১ রান। কিউই এই ওপেনার আজ তুলে নিয়েছেন নিজের ফিফটিও। তবে ৮০ বলে ১০ চার এবং ১ ছয়ে ৭০ রান করা ইয়াং সাজঘরে ফিরেন নাসুমের বলে বোল্ড হয়ে। নিউজিল্যান্ডের জয়ের জন্য প্রয়োজন তখন আর মাত্র ৪২ রান, হাতে আছে আরও সাত উইকেট।

ইয়াং ফেরার পর মাঠে নামা টম ব্লান্ডেলকে নিয়ে পরে নিকোলস সেই ৪২ রান তুলে নিয়েছেন সহজেই। জয়ের পথে ব্যক্তিগত অর্ধশতকের দেখাও পেয়েছেন নিকোলস। কিউই এই ব্যাটারের অপরাজিত ৫০ রানের ইনিংসে ভর করেই শেষ পর্যন্ত সাত উইকেটের জয় তুলে নিয়েছে নিউজিল্যান্ড।

আগে ব্যাট করতে নেমে টাগারদের হয়ে ওপেনিংয়ে আসেন অভিষেক হওয়া জাকির হাসান ও তানজিদ তামিম। তবে ওয়ানডে অভিষেকটা সুখকর হয়নি জাকিরের। পেসার অ্যাডাম মিলনের বলে ৫ বলে ১ রান করে আউট হয়েছেন এই বাঁহাতি ব্যাটার। এরপর বেশিক্ষণ উইকেটে টিকতে পারেনি আরেক ওপেনার তামিমও। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারের ট্রেন্ট বোল্টের বলে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন তিনি।

ফলে শুরুতেই দলীয় আট রানের মধ্যে দুই ওপেনারকে হারিয়ে বিপাকে পরে বাংলাদেশ। চতুর্থ উইকেটে তাওহীদ হৃদয়কে সঙ্গে নিয়ে শুরুর ধাক্কা সামলে ওঠার চেষ্টায় ছিলেন অধিনায়ক শান্ত। কিন্তু তাও সফল হয়নি। দুজন মিলে স্কোরবোর্ডে ২৭ রান তুলতেই ব্যক্তিগত ১৮ রানে সাজঘরে ফিরেন হৃদয়।

হৃদয় আউট হওয়ার পর ক্রিজে শান্তর সঙ্গী হন মুশফিকুর রহিম। এ দুজনের ব্যাটেই আজ বিপর্যয় সামলে ওঠে বাংলাদেশ। মুশফিক-শান্ত জুটি দলীয় সংগ্রহে যোগ করেন ৫৩ রান। এদিকে জুটি বড় হলেও নিজের ইনিংস বড় করতে পারেননি মুশফিক।

লকি ফার্গুসনের করা বল প্রথমে মিস্টার ডিপেন্ডেবলের ব্যাটে লেগে আঘাত করে স্ট্যাম্পে। ফলে মুশফিককেও ফিরতে হয় মাত্র ১৮ রান করেই। এদিকে এক প্রান্তে যাওয়া-আসার খেলা চলতে থাকলেও অপর প্রান্তে লড়াইয়ে চালিয়ে গেছেন শান্ত। মুশফিকের বিদায়ের পর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের সঙ্গেও আরও একটি বড় জুটি গড়েছিলেন তিনি। এ দুজনের জুটিতে স্কোরবোর্ডে যোগ হয় ৪৯ রান।

তবে ২৭ বলে ২১ রান করে মাহমুদউল্লাহ ফেরার পর শেখ মেহেদীও ফিরেছেন ব্যর্থ হয়েই। এরপর শান্তও ৭৬ রানে ফিরলে পরে আর বেশি দূর এগোতে পারেনি বাংলাদেশ। অল আউট হয় মাত্র ৩৪.৩ ওভারে ১৭১ রান করেই। কিউইদের হয়ে বল হাতে চারটি উইকেট নিয়েছেন অ্যাডাম মিলনে।

ইবাংলা/এসআরএস

সিরিজ জয়