ক্রিকেটে বাজবলের প্রবর্তক ইংল্যান্ড। সেই বাজবলেই ধরাশায়ী ক্রিকেটের জনকরা। ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নদের উড়িয়ে দিয়ে ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপ শুরু করেছে নিউজিল্যান্ড। বৃহস্পতিবার টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী ম্যাচে জিতেছে ৯ উইকেট ব্যবধানে। নিয়েছে আগের আসরে ফাইনাল হারের প্রতিশোধ।
আহমেদাবাদে নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ২৮২ রানের পুঁজি পায় ইংল্যান্ড। রান তাড়ায় ৮২ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে নোঙর করে গত আসরের রানার্সআপরা। ২০১৯ ফাইনালে তাদের হারিয়ে প্রথমবার টুর্নামেন্টে শিরোপা জিতেছিল ইংল্যান্ড।
আরও পড়ুন>> বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচে ব্যাটিংয়ে ইংল্যান্ড
রান তাড়ায় শুরুটা মোটেও ভালো ছিল না নিউজিল্যান্ডের। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে গোল্ডেন ডাক মারেন উইল ইয়ং। তাকে শিকার বানান স্যাম কুরান। ম্যাচের বাকিটায় ছিল ডেভন কনওয়ে এবং রাচিন রবীন্দ্র শো। ইংলিশ পেসারদের শাসন করেছে দুই কিউই ব্যাটার। দুজনেই তুলে নিয়েছেন সেঞ্চুরি এবং মাঠ ছেড়েছেন দলকে জয়ের স্বাদ পাইয়ে দিয়ে।
কনওয়ে-রবীন্দ্রের ২১১ বলের অবিশ্বাস্য জুটিতে আসে ২৭৩ রান। কনওয়ে অপরাজিত ছিলেন ১৫২ রানে (১২১ বলে)। পঞ্চম ওয়ানডে সেঞ্চুরির ইনিংস ১৯ চার এবং ৩ ছক্কায় সাজান তিনি। রাচিন তুলে নিয়েছেন প্রথম আন্তর্জাতিক সেঞ্চুরি। তার ১২৩ রানের ইনিংসে ছিল ১১ চার এবং ৫ ছক্কার মার। খেলেছেন ৯৬ বল।
এর আগে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে চাপে পড়ে ইংল্যান্ড। শতরানের মধ্যেই সাজঘরে ফেরেন ডেভিড মালান (১৪), জনি বেয়ারস্টো (৩৩) এবং হ্যারি ব্রুক (২৫)। মঈন আলির ব্যাট থেকে আসে মোটে ১১ রান। দলের বিপদে হাল ধরেন অধিনায়ক জস বাটলার এবং অভিজ্ঞ ব্যাটার জো রুট। তাদের ৭০ রানের জুটিতে শুরু বিপদ কাটিয়ে ওঠে চ্যাম্পিয়নরা।
দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৭৭ রানের ইনিংস খেলেন রুট। বাটলার করেন ৪৩ রান। শেষ তিন ব্যাটার দলের খাতায় যোগ করে ৫৩ রান। কমবেশি অবদান রাখেন বাকিরাও। সব মিলিয়ে ১১ ব্যাটারই পৌঁছান দুই অঙ্কের রানে। যা ওয়ানডে ইতিহাসে ঘটল প্রথমবার। কীর্তি গড়লেও জয় দিয়ে বিশ্বকাপ শুরুর সৌভাগ্য হলো না ইংল্যান্ডের।
ইবাংলা/এসআরএস