ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে চলমান যুদ্ধ চতুর্থ দিনে গড়িয়েছে। এখনো চলছে দুই পক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ। এতে হামাসের হামলায় ইসরাইলে নিহতের সংখ্যা এক হাজার ছাড়িয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত ইসরায়েলি দূতাবাস সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) দেওয়া এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
আরও পড়ুন…আবারও সিসিইউতে খালেদা জিয়া
এতে বলা হয়েছে, ১ হাজার ৮ জন ইসরায়েলি হত্যার শিকার হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৩ হাজার ৪১৮ জন। ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে ছোড়া হয়েছে ৪ হাজার ৯৬৯টি রকেট। নারী ও শিশুদের জিম্মি করা হয়েছে।
এদিকে, হামাসের হামলার জবাবে ফিলিস্তিনের গাজায় নির্বিচার বিমান হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। এতে ৭৭০ জন নিহত এবং চার হাজার ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন বলে ফেসবুকে এক পোস্টে জানিয়েছে হামাস পরিচালিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
গত শনিবার (৭ অক্টোবর) সকালে আকস্মিকভাবে ইসরায়েলে প্রবেশ করা শুরু করেন হামাসের যোদ্ধারা। এরপর তারা ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর চেকপোস্ট ও বেসামরিক মানুষদের বাড়িতে যান।
আরও পড়ুন…যেভাবে হ্যাক হওয়া ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ফিরে পাবেন
এ ছাড়া হামাসের যোদ্ধারা একটি গানের অনুষ্ঠানেও হামলা চালান। সেই অনুষ্ঠানস্থল থেকে একইসঙ্গে ২৬০ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়া গাজার সীমান্তবর্তী বিভিন্ন এলাকাতেও হামাসের যোদ্ধারা হামলা চালিয়েছেন।
ফিলিস্তিনকে দ্বিখণ্ডিত করে ১৯৪৫ সালে সৃষ্টি হয় ইসরায়েলের। এরপর থেকে ফিলিস্তিনের বহু অঞ্চল দখল করেছে তারা। এ ছাড়া সাধারণ ফিলিস্তিনিদের উপর প্রতিনিয়ত অত্যাচার নির্যাতন চালিয়ে গেছে তারা। কিন্তু এত অপকর্ম করার পর ৭৫ বছর পার হয়ে গেলেও- কখনো এত বড় হামলার মুখোমুখি হতে হয়নি ইসরায়েলকে।