ইতিহাস গড়া জয় পাকিস্তানের

দুর্ভাগ্য শ্রীলঙ্কার। আবারও তিনশ’র বেশি রান করে হারতে হলো তাদের। মঙ্গলবার ৩৪৪ রান করেও জয় পাওয়া হয়নি দ্বীপ দেশটির। লঙ্কানদের হতাশায় ডুবিয়ে ইতিহাস গড়া জয় তুলে নিয়েছে পাকিস্তান। বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ রান তাড়ার রেকর্ড এখন বাবর আজমদের দখলে।

হায়দরাবাদে প্রথম ব্যাটিংয়ে নেমে ৯ উইকেটে ৩৪৪ রানের বড় সংগ্রহ পায় শ্রীলঙ্কা। সেঞ্চুরি করেন কুশাল মেন্ডিস এবং সাদিরা সামারাবিক্রমা। তাদের লড়াই বৃথা যায় আব্দুল্লাহ শফিক এবং মোহাম্মদ রিজওয়ানের সেঞ্চুরিতে। পাকিস্তান জয়ের বন্দরে নোঙর করে ৬ উইকেট এবং ১০ বল হাতে রেখে।

আরও পড়ুন>> ইংলিশ পরীক্ষা ফেল টাইগারদের

বিশ্বকাপের মঞ্চে এতদিন সর্বোচ্চ রান তাড়ার রেকর্ড ছিল আয়ারল্যান্ডের। ২০১১ সংস্করণে সবাইকে চমকে দিয়ে ইংল্যান্ডের ৩২৯ রান টপকে গিয়েছিল আইরিশরা। দীর্ঘ এক যুগ পর রেকর্ডটি দখলে নিয়ে ক্রিকেট বিশ্বকে আরেকটি চমক উপহার দিল ‘আনপ্রেডিক্টেবল’ পাকিস্তান।

চলতি বিশ্বকাপে এটা টানা দ্বিতীয় জয় বাবর আজমদের। টুর্নামেন্ট ইতিহাসে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে অষ্টম জয়। বড় মঞ্চে এখন অবধি পাকিস্তানের বিপক্ষে জয়ের দেখা পায়নি লঙ্কান ক্রিকেটাররা, যারা টানা দ্বিতীয় হারের স্বাদ পেল ওয়ানডে বিশ্বকাপের ১৩তম আসরে।

রাজীব গান্ধী আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে পাকিস্তান অসাধ্য সাধন করতে পেরেছে শফিক এবং রিজওয়ানের বদৌলতে। ফখর জামানের পরিবর্তে একাদশে ডাক পেয়েই জ্বলে ওঠেন শফিক। পাকিস্তানি এই ওপেনার ১০৩ বলে ১০ চার ও ৩ ছক্কায় উপহার দেন ১১৩ রানে ঝলমলে এক ইনিংস।

রিজওয়ান অপরাজিত ছিলেন ১৩১ রানে। তার ১২১ বলের ইনিংসে ছিল ৮ চার ও ৩ ছক্কার মার। ম্যাচসেরা হয়েছেন তিনি। পাকিস্তানি কিপার-ব্যাটার দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ের আগে গ্লাভসহাতে তালুবন্দী করেন তিনটি ক্যাচ। দলের জয়ে শেষ দিকে অবদান রাখেন সৌদ শাকিল (৩১) এবং ইফতিখার আহমেদও (২২*)।

হারের জন্য বাজে বোলিংকে দুষতেই পারেন দাসুন শানাকা। কেননা, ৪৮.২ ওভারের ইনিংসে ২৫টি ওয়াইড এবং ১টি নো বল করেছে তার বোলাররা। অতিরিক্ত খাত থেকে ২৬ রান না এলে ভিন্ন হতে পারত ম্যাচের গল্প।

ইবাংলা/এসআরএস

জয় পাকিস্তানের