বিশ্বমঞ্চে আরও একটি ম্যাচে ভরাডুবি বাংলাদেশের। শুক্রবার চেন্নাইয়ের চিপকে টাইগারদের উড়িয়ে দিয়েছে নিউজিল্যান্ড। কেন উইলিয়ামসন এবং ড্যারিল মিচেলের হাফসেঞ্চুরিতে গত আসরের রানার্সআপরা জিতেছে ৮ উইকেট ব্যবধানে। ওয়ানডে বিশ্বকাপের ১৩তম আসরে এটা টানা তৃতীয় জয় কিউইদের।
আজ এমএ চিদাম্বরম স্টেডিয়ামে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ২৪৫ রানের পুঁজি পায় বাংলাদেশ। রান তাড়ায় ৪৩ বল হাত রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় নিউজিল্যান্ড। টুর্নামেন্টে এটা বাংলাদেশের দ্বিতীয় হার।
আরও পড়ুন>> ২৪৫ রানের লড়াকু পুঁজি টাইগারদের
ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডের বিপক্ষে আগের ম্যাচে ব্যাটিং ব্যর্থতায় হার দেখেছিল টিম টাইগার্স। নিউজিল্যান্ড ম্যাচেও একই গল্পের পুনরাবৃত্তি। ইংলিশদের বিপক্ষে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে ভরাডুবি হয়েছিল সাকিবদের। আজ প্রথমে নেমে দেখিয়েছে বাজে ব্যাটিং প্রদর্শনী।
কিউইদের বিপক্ষে মাত্র ৫৬ রানে ৪ উইকেট খুইয়ে বসে বাংলাদেশ। ধ্বংসস্তুপে দাঁড়িয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলেন সাকিব ও মুশফিকুর রহিম। দুজনের জুটিতে আসে ৯৬ রান। মুশফিক থামেন ৬৬ রানে এবং অধিনায়কের ব্যাট থেকে আসে ৪০। মাহমুদউল্লাহ অপরাজিত ছিলেন ৪১ রানে।
তিন অভিজ্ঞ ক্রিকেটারের ব্যাটে লড়াই করার মতো পুঁজি পায় টাইগার বোলাররা। কিন্তু তাসকিন-মিরাজদের লড়াইয়ের সুযোগ দেননি উইলিয়ামসন এবং মিচেল। ইনিংসের তৃতীয় ওভারে রাচিন রবীন্দ্রকে () শিকার বানিয়ে আশা জাগিয়েছিলেন মোস্তাফিজুর রহমান (৯)। কিন্তু দ্রুতই আশার প্রদীপ নিভে যায়।
দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ৮০ রানের প্রতিরোধ গড়ে তুলেন ডেভন কনওয়ে এবং উইলিয়ামসন। সাকিব এই জুটি ভাঙলেও ম্যাচে ফেরার সৌভাগ্য হয়নি বাংলাদেশের। টাইগার অলরাউন্ডার ৪৫ রান করা কিউই ওপেনারকে এলবির ফাঁদে ফেলেন। এরপর আর কোনো উইকেট পায়নি লাল-সবুজ দল। ব্যক্তিগত ৭৮ রানে রিটায়ার্ড হার্ট হন উইলিয়ামসন।
মাঠ ছাড়ার আগে কিউই অধিনায়কের ব্যাট থেকে আসে ৭৮ রান। পরে গ্লেন ফিলিপসকে সঙ্গে নিয়ে বাকি পথটুকু অনায়াসে পাড়ি দেন মিচেল। তিনি ৮৯ এবং ফিলিপস ১৬ রানে অপরাজিত ছিলেন।
ইবাংলা/এসআরএস