পাকিস্তান ম্যাচে প্রোটিয়াদের ঘাম ঝরানো জয়

প্রতিপক্ষ ব্যাটারদের চেপে ধরেছিল পাকিস্তানি বোলাররা। চাপের মুখে দক্ষিণ আফ্রিকার হাল ধরেন এইডেন মার্করাম। নব্বইয়ের ঘরে পৌঁছে তিনিও পথ হারান। মার্করাম যখন আউট হন তখন জয় থেকে ২১ রান দূরে ছিল প্রোটিয়ারা। তাদের নবম উইকেটের পতন হয় দলীয় ২৬০ রানে। কেশভ মহারাজ এবং তাবরাইজ শামসির শেষ উইকেটের জুটিতে ঘাম ঝরানো জয়ের আনন্দে মাতে দক্ষিণ আফ্রিকা।

শুক্রবার চেন্নাইয়ে এমএ চিদাম্বরম স্টেডিয়ামে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নামা পাকিস্তান অলআউট হয় ৪৬.৪ ওভারে ২৭০ রানে। জবাব দিতে নামা দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে সর্বোচ্চ ৯১ রানের ইনিংস খেলেন মার্করাম। তার লড়াইয়ের পর শেষটায় লেজের জোড়ে ১ উইকেটে জিতে প্রোটিয়ারা। ৬ ম্যাচে ১০ পয়েন্টে লিগপর্বের টেবিলের শীর্ষস্থান দখলে নিয়েছে দলটি।

আরও পড়ুন>> একদিন আগেই নয়াপল্টনে বিএনপি নেতাকর্মীদের ভিড়

লড়াকু পুঁজি নিয়ে লড়াই জমিয়ে তুলেছিল পাকিস্তানি বোলাররা। ২১.৪ ওভারে ১৩৬ রানে চার প্রোটিয়া ব্যাটারকে ফেরায় তারা। প্রথম আঘাত হানেন শাহিন শাহ আফ্রিদি। কুইন্টন ডি কককে (২৪) আউট করে প্রতিপক্ষের ৩৪ রানের উদ্বোধনী জুটি ভাঙেন এই পেসার। তেম্বা বাভুমা এবং রাশি ফন ডার ডাসেনের ৩৩ রানে জুটি ভাঙেন মোহাম্মদ ওয়াসিম জুনিয়র। তার শিকার হন প্রোটিয়া অধিনায়ক বাভুমা (২৮)।

এরপর ডাসেন এবং এইডেন মার্করামের প্রতিরোধে একশ রানের কোটা অতিক্রম করে দক্ষিণ আফ্রিকা। তাদের ৫৪ রানের জুটি ভাঙেন উসামা মির। তিনি আউট করেন ডাসেনকে (২১)। খানিকবাদেই ওয়াসিমের দ্বিতীয় আঘাতে মাঠ ছাড়েন ১২ রান করা হেনরিখ ক্লাসেন। পঞ্চম উইকেটে ৭০ রানের জুটি গড়ে প্রোটিয়াদের জয়ের পথ মসৃন করেন মার্করাম এবং ডেভিড মিলার।

দলীয় ২০৬ এবং ব্যক্তিগত ২৯ রানে আউট হন মিলার। তাকে ফেরান শাহিন শাহ। ব্যাটিংয়ে নেমে শুরু থেকেই ব্যাট চালাতে থাকেন মার্কো জ্যানসেন। দ্রুত রান তোলার নেশায় হাসির রউফের শিকার হন তিনি। সাজঘরে ফেরার আগে ১৪ বলে ২ চার ও ১ ছক্কায় ২০ রান করেন জ্যানসেন। এরপর দলীয় ২৫০ রানে দুই উইকেট হারায় তারা। প্রথমে মার্করামকে আউট করেন উসামা। পরের ওভারে জেরাল্ড কোয়েটজেকে (১০) ফেরান শাহিন শাহ।

নবম ব্যাটার হিসেবে লুঙ্গি এনগিডিকে সাজঘরে পাঠান হারিস রউফ। বোলিং করার পর এক হাতে নিয়ে লড়াই জমিয়ে তুলেন পাকিস্তানি পেসার। কিন্তু তাদের জয়ের হাসি হাসতে দেননি মহারাজ এবং শামসি। দুইজনের প্রতিরোধে ১৬ বল হাতে রেখে জয়ের বন্দরে নোঙর করে দক্ষিণ আফ্রিকা। তাদের শেষ দুই ব্যাটারই অপরাজিত ছিলেন ৪ রানে।

টুর্নামেন্টে এটি টানা চতুর্থ হার পাকিস্তানের। ৬ ম্যাচে ২ জয়ে ৪ পয়েন্টে টেবিলের তাদের অবস্থান ছয় নম্বরে। হারের বৃত্তে আটকা পড়া বাবর আজমদের জন্য সেমিফাইনালের উঠার পথটা আরও কঠিন হয়ে পড়েছে।

ইবাংলা/এসআরএস

পাকিস্তান