শনিবার (২৮ অক্টোবর) রাতে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে ‘পুলিশের উপর বিএনপি নেতা-কর্মীদের হামলা ও আজকের সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে’ আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
হাবিবুর রহমান বলেন, রোববার হরতালের নামে কেউ যদি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অস্বাভাবিক করার চেষ্টা করেন ও সাধারণের যানচলাচলে ব্যাহত করেন তাহলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন…নানার বাড়িতে বেড়াতে এসে পুকুরে ডুবে শিশুর মৃত্যু
তিনি বলেন, দেশের জনগণের জানমাল এবং সরকারি সম্পত্তির নিরাপত্তা বিধান বাংলাদেশ পুলিশের আইনি দায়িত্ব। পুলিশ জনগণকে সব ধরনের নিরাপত্তা দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। নাগরিকরা চলাফেরার ক্ষেত্রে কোনো ধরনের বাধার সম্মুখীন হলে বা আইনি সহায়তার প্রয়োজন হলে নিকটস্থ পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ জানানো হচ্ছে।
এর আগে দুপুর আড়াইটার দিকে পুলিশি বাধার মুখে বিএনপির নয়াপল্টনের সমাবেশ পণ্ড হয়ে যায়। ধাওয়া খেয়ে নেতাকর্মীরা চারদিকে ছড়িয়ে পড়েন। পরে নয়াপল্টন এবং আশপাশের অন্যান্য স্থানে বিএনপি-পুলিশ-আওয়ামী লীগ সংঘর্ষ হয়। এসব ঘটনায় বিএনপির বহু নেতাকর্মীর পাশাপাশি পুলিশ ও সাংবাদিকরা আহত হয়েছেন। পুলিশ দাবি করেছে, তাদের ৪১ জন সদস্য আহত হয়েছেন।
শনিবার সমাবেশ থেকে এ হরতালের ঘোষণা দেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। মিডিয়া সেলের ফেসবুক পেজেও এই ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। শনিবার নয়াপল্টনে সমাবেশে পুলিশের সঙ্গে ব্যাপক সংঘর্ষের পর হরতালের এ সিদ্ধান্ত এলো। বিএনপির হরতালের পাল্টা হিসেবে দেশজুড়ে শান্তি সমাবেশের ডাক দিয়েছে আওয়ামী লীগ।