বিষ নিয়ে এসে প্রথমে তা খাওয়ান বাবা–মা, স্ত্রী ও তিন শিশু সন্তানকে। তাদের মৃত্যুর পর নিজে ফাঁস নেন। ভারতের গুজরাটের সুরাট নামক এলাকায় সম্প্রতি এ ঘটনা ঘটে। মৃত্যুর আগে রেখে যাওয়া ওই পরিবারের সুইসাইড নোট থেকে জানা যায়, আর্থিক সংকটের কারণেই ‘গণ আত্মহত্যা’।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদন বলছে, গুজরাটের সুরাট সিটির বাসা থেকে একই পরিবারের সাতজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পাওয়া গেছে তাদের রেখে যাওয়া সুইসাইড নোটও।
আরও পড়ুন>> হরতালেও চলবে ঢাবি অধিভুক্ত সাত কলেজের পরীক্ষা
শুক্রবার মধ্যরাতে গুজরাট পুলিশ জানায়, তিন শিশুর বয়স আট বছরের কম। এর মধ্যে দুটি মেয়ে, তাদের বয়স যথাক্রমে ৩ ও ৫। ছেলেটির বয়স ৭ বছর।
পুলিশ বলছে, এরা সবাই আত্মহত্যা করেছে নাকি পরিবারের কর্তা সবাইকে মেরে নিজে মরেছেন—তা তদন্ত করে বলা যাবে। তবে প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে, এটি ‘গণ আত্মহত্যা’। মরদেহগুলোর ময়নাতদন্তের পর এ বিসয়ে বিস্তারিত জানা যাবে।
ভারতের আরেক সংবাদমাধ্যম ইকোনমিকস টাইমস বলছে, শুক্রবার রাতেই আদাজান লোকালিটির একটি অ্যাপার্টমেন্টে এই ঘটনা ঘটে। তবে শিশুদের বয়স আরও বেশি বলে জানায় সংবাদমাধ্যমটি।
সুইসাইড নোট থেকে জানা গেছে, আর্থিক সংকটের মধ্য দিয়ে যেতে হচ্ছিল ওই পরিবারকে। এর মধ্যেই কারও কাছে ঋণের টাকা পাওয়া ছিল। দীর্ঘদিন ধরেই সেই টাকা আর ফেরত পাচ্ছিলেন না ওই ব্যক্তি। এ জন্য সংকটও কাটাতে পারছিলেন না।
ওই পরিবারের কর্তার নাম মনীশ সোলানকি (৩৭)। তিনি সিলিংয়ে ঝুলে ছিলেন। বাকিদের মরদেহ পড়ে ছিল বিছানা ও ফ্লোরে।
ইবাংলা/এসআরএস