নভেম্বরেও বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড়ের শঙ্কা

নভেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে বঙ্গোপসাগরে দুইটি নিম্নচাপ সৃষ্টি হতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এরমধ্যে একটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেওয়ার শঙ্কা রয়েছে। অধিদপ্তর বলছে, বর্ষার পর সামুদ্রিক ঝড়ের প্রবণতা বেশি থাকে।

অক্টোবরের মাঝামাঝি থেকে মৌসুমী বায়ু বিদায় নিয়েছে। শেষ সময়ে সারা দেশে স্বাভাবিকের চেয়ে প্রায় ৩৫ শতাংশ বেশি বৃষ্টি ঝরেছে। গত অক্টোবরে সর্বোচ্চ বৃষ্টির রেকর্ড করা হয়েছে ময়মনসিংহে ৩৭৮ মিলিমিটার।

আরও পড়ুন>> ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের বিজ্ঞপ্তির তারিখ জানাল এনটিআরসিএ

গত ২৪ অক্টোবর ঘূর্ণিঝড় হামুন অতিক্রম করার পর থেকে আবহাওয়া বেশ শুষ্ক। দিনের আলো ছোট হয়ে আসছে। উত্তরে বইছে হিমহিম বাতাস। হালকা কুয়াশায় মোড়া  থাকছে প্রতিদিনের ভোর। এরই মাঝে তেঁতুলিয়ায় তাপমাত্রা ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমেছে। আবহাওয়া অফিস বলছে, নভেম্বরে রাতের তাপমাত্রা কমছে দুই থেকে তিন ডিগ্রি।

আবাহাওয়াবিদ ওমর ফারুক বলেন, ‘দিনের তাপমাত্রাটা স্বাভাবিকের চেয়ে কিছুটা বেশি থাকতে পারে। দক্ষিণাঞ্চলে কিন্তু তাপমাত্রা একটু বেশিই থাকে, বিশেষ করে কক্সবাজার বা এই অঞ্চলে। এটা কিন্তু ২০ এর কাছাকাছি থাকে শীতের সময়েও। অন্যদিকে উত্তরাঞ্চলের তাপমাত্রা কিন্তু অনেক কমে যায়। এখনই কিন্তু ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি চলে এসেছে।’

তিনি বলেন, ‘বঙ্গোপসাগরে এক থেকে দুটি লঘুচাপ তৈরি হতে পারে। এরমধ্যে একটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। নভেম্বরের প্রথমার্ধে এর সম্ভাবনা খুব কম। দ্বিতীয়ার্ধে সম্ভাবনা আছে।’

এর আগে সিডর, বুলবুলসহ বেশ কিছু প্রলয়ংকারী ঘূর্ণিঝড় হয়েছে নভেম্বরে। তাই এ মৌসুমেও হতে পারে ঘূর্ণিঝড়।

আবহাওয়ার পূর্বাভাস বলছে, নভেম্বরের শেষ থেকে সারা দেশে শীতের আমেজ শুরু হয়ে যেতে পারে। তবে রাজধানীতে হিমেল বাতাস বইতে সময় লাগবে ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত।

ইবাংলা/এসআরএস

ঘূর্ণিঝড়