ইসরায়েলি বিমান হামলায় গাজার ৫৬ মসজিদ ধ্বংস

গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় ৭ অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত অন্তত ৫৬টি মসজিদ ধ্বংস হয়েছে। গাজার মিডিয়া অফিস এ খবর দিয়েছে।

সোমবার গাজা সিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনে সেখানকার মিডিয়া অফিসের মুখপাত্র সালামা মারুফ বলেন, ‘গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের আক্রমণে ১৯২টি মসজিদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যার মধ্যে ৫৬টি দখলদার বাহিনীর দ্বারা সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে গেছে।’

তিনি বলেন, ইসরায়েলি আগ্রাসনে ১৯২টি চিকিৎসা ও স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং ৩২টি অ্যাম্বুলেন্স ধ্বংস হয়েছে। ১১৩টি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান উল্লেখযোগ্য ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে এবং ১৬টি হাসপাতাল ও ৩২টি স্বাস্থ্যকেন্দ্র তাদের সেবা দেওয়া বন্ধ করেছে।

আরও পড়ুন>> লক্ষ্মীপুর ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় উপ-নির্বাচনের গেজেট প্রকাশ স্থগিত

সালামা মারুফ বলেন, ইসরায়েলি হামলায় প্রায় দুই লাখ ২২ হাজার আবাসিক ইউনিট (ফ্লাট) ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যার মধ্যে ১০ হাজার ভবন সম্পূর্ণরূপে বিধ্বস্ত হয়েছে এবং ৪০ হাজার আবাসিক ইউনিট ধ্বংস হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি সেনাদের হামলায় ২২২টি বিদ্যালয় ধ্বংস হয়েছে। তাদের ক্রমাগত গোলাবর্ষণের কারণে বিভিন্ন ধরনের ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে এবং ৬০টি বিদ্যালয় তাদের কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে। এছাড়া ইসরায়েলি আগ্রাসনে ৮৮টি সরকারি ভবন ধ্বংস হয়েছে।

বিবিসির লাইভ রিপোর্টার স্যাম হ্যানকক বলেন, জাতিসংঘের মহাসচিব বলেছেন, গাজা “খুব দ্রুত শিশুদের কবরস্থানে” পরিণত হচ্ছে।

সোমবার ভাষণ দেওয়ার সময় আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, এই উপত্যকার পরিস্থিতি “মানবিক সংকটের তুলনায় বেশি কিছু হয়ে দাঁড়িয়েছে, এটি এখন মানবতার সংকটের পরিণত হয়েছে।”

হামাস ও ইসরায়েলের পরস্পরকে লক্ষ্য করে হামলা চালানো শুরুর মাস পূর্তী উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “শত শত মেয়ে ও ছেলে শিশু হয় নিহত হয়েছে নাহলে আহত হয়েছে।”

গুতেরেস আবারও জরুরি অস্ত্রবিরতির আহ্বান জানান।

গাজায় যুদ্ধ শুরুর পর পঞ্চম সপ্তাহ চলছে। কিন্তু এরপর এটি থামার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।

গাজায় থাকা হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এরইমধ্যে ১০ হাজার ২২ জন মানুষ নিহত হয়েছে। যাদের মধ্যে চার হাজার ১০৪ জন শিশু রয়েছে।

সূত্র : আনাদোলু এজেন্সি, বিবিসি

ইবাংলা/এসআরএস

গাঁজার