প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশের সার্বিক উন্নয়নে যে পরিকল্পনা তার সরকার নিয়েছে, তাতে বাংলাদেশ আর কখনও ‘পথ হারাবে না’।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ আজকে বিশ্বে একটা মর্যাদাপূর্ণ অবস্থানে এসেছে। এটা আমাদের ধরে রাখতে হবে। আমাদের এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।
রবিবার (৭ নভেম্বর) যুক্তরাজ্য প্রবাসী বাংলাদেশিদের আয়োজিত এক নাগরিক সংবর্ধনায় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ২০০৯ সালে সরকার গঠনের পর ২০২১ সাল পর্যন্ত প্রেক্ষিত পরিকল্পনা করে তার ভিত্তিতে পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা ধরে দেশের উন্নয়ন এগিয়ে নেওয়া হয়েছে। এখন ২০৪১ সাল পর্যন্ত প্রেক্ষিত পরিকল্পনা তৈরি করে অষ্টম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা বাস্তবায়নের কাজ চলছে। কাজেই এটা ধরে এগোতে পারলে বাংলাদেশের এই অগ্রযাত্রা কেউ থামাতে পারবে না।
শতবছরের ‘ডেল্টা প্ল্যান’-এর কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, বাংলাদেশ একটা ব-দ্বীপ। এই ব-দ্বীপের জনগণ, বংশ পরম্পরায় যারা আসবে, আগামী প্রজন্ম যারা আসবে, তারা যেন একটা সুন্দর জীবন পায়। সেই পরিকল্পনার কাঠামো তৈরি করে দিয়ে যাচ্ছি। সেটিও আমরা করেছি এবং সেটি আমরা বাস্তবায়ন করছি।
শেখ হাসিনা আরও বলেন, রাজধানীর সঙ্গে সমগ্র বাংলাদেশের যোগাযোগ নেটওয়ার্ক আমরা তৈরি করে দিচ্ছি। কাজেই বাংলাদেশের সার্বিক উন্নয়নে যে পরিকল্পনা ও ব্যবস্থাপনা আমরা পরিচালনা করছি, তার ফলে এই বাংলাদেশ আর কখনও পথ হারাবে না।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায়। বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে জাতির পিতা যে আদর্শ দিয়ে গেছেন, সেই আদর্শ নিয়ে, বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে তার অভীষ্ট লক্ষ্য অর্জনের জন্য।
প্রবাসীদের দেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, একশটা অর্থনৈতিক অঞ্চল করে দিচ্ছি। অনেক দিন তো এ দেশে ছিলেন। বাংলাদেশে আসেন, বিনিয়োগ করেন।
যুক্তরাজ্যে যারা রেস্তোরাঁ ব্যবসা করেন, বাংলাদেশ থেকে তাদের বিভিন্ন ধরনের খাদ্যপণ্য নিয়ে যেতে হয়। সে বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনারা কিন্তু সেখানে তরিতরকারি, শাকসবজি, মাছ-মাংস উৎপাদন করতে পারেন। সেগুলোর সঙ্গে আধুনিক পদ্ধতিতে ভ্যালু অ্যাড করতে পারেন এবং এটা নিয়ে আসতে পারেন- রেডি টু কুক অর রেডি টু ইট।
তিনি বলেন, আমরা নতুন বিমান কিনে দিয়েছি। আমরা আগামীতে কার্গো বিমানও কিনে দেব।… কোন সবজিটা, কোন মাংসটা কত তাপমাত্রায় রাখলে তার খাদ্যগুণ নষ্ট হবে না- সেভাবে চেম্বার করে দিয়ে সেভাবে আমরা কার্গো ভিলেজ করে দেব। আপনার কোনো জিনিস রপ্তানি করতে আর সমস্যা হবে না।
‘অর্থনৈতিক অঞ্চলে যারা বিনিযোগ করতে চান,… বিশেষ সুবিধা পাবেন। বিশেষ করে আমাদের প্রবাসী যারা, তাদের জন্য আরও আলাদাভাবে বিশেষ সুবিধা আমরা দেব, যাতে সেখানে বিনিয়োগটা আরও ভালোভাবে হয়।’
ইবাংলা/টিআর/৮ নভেম্বর/২০২১