নান্দাইলে পুকুরে বিষ প্রয়োগে লাখ টাকার মাছ নিধন

ময়মনসিংহের নান্দাইলে পূর্বশত্রুতা জেরে পুকুরে বিষ প্রয়োগ করে প্রায় লাখ টাকার মাছ নিধন করা হয়েছে। সোমবার (১৩ নভেম্বর) উপজেলার বিলভাদেরা গ্রামের খাইরুল ইসলাম খানের ছেলে মামুন খানের ফিসারিতে এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় সোমবার (১৩ই নভেম্বর) একই গ্রামের প্রতিপক্ষ মৃত আলেপ খানের পুত্র জাহাঙ্গীর খানের বিরুদ্ধে বিষ দিয়ে মাছ নিধনের অভিযোগে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছে মামুন।

স্থানীয় সূত্র ও সরিজমিনে জানা গেছে, “প্রতিপক্ষ জাহাঙ্গীর খানের সাথে মামুন খানের পরিবারের দীর্ঘদিন ধরে জমি সংক্রান্ত গোলযোগ চলছে।”

আরও পড়ুন>> আলোচনায় বসতে প্রধান তিন দলকে যুক্তরাষ্ট্রের চিঠি

অভিযোগে জানা যায়, মামুন খানের বাড়ির সামনে ২০ শতাংশ পুকুরে দেশীয় প্রজাতির মাছ চাষ করছিলেন। প্রতিদিনের মতোই রোববার দিবাগত রাতে পুকুরে মাছের খাবার দিয়ে বাসায় যান মামুন মিয়া। পরে রাত দেড়টার দিকে পুকুরের মাছ পাহারা দিতে গেলে অভিযুক্ত জাহাঙ্গীর খানকে পুকুরের পাড়ে দাড়ানো অবস্থা দেখতে পান।

অভিযোগে আরও জানা যায়, এ সময় জাহাঙ্গীরের হাতে একটি পলিথিনের কাগজ দেখতে পান মামুন। এসময় নানা অজুহাতে জাহাঙ্গীর খান সেখান থেকে চলে যায়। কিন্তুু পরদিন সোমবার সকালে পুকুরের পানিতে চাষকৃত সব মাছ মরে ভেসে উঠতে দেখতে পায় স্থানীয় বাসিন্দারা।

এলাকাবাসী জানান, এ ধরণের ঘটনা আমাদেরকে বিষ্ময়কর করে তুলেছে। এ ঘটনা যারা ঘটিয়েছে তাদেরকে বিচারের আওতায় আনার দাবিও জানান তারা।

এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য মুকসুদ আলী ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও মাছ নিধনের ঘটনাটি সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, কাহারও বিরুদ্ধে কোন সুনির্দিষ্ট কোন অভিযোগ পাইনি। তবে এদের দুই পরিবারের মধ্যে জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিল।

এদিকে রাজগাতী ইউপি চেয়ারম্যান ইফতেকার মোমতাজ খোকন বলেন, আমি ঘটনা শুনে ইউপি সদস্যকে বিষয়টি দেখার জন্য পাঠিয়েছিলাম। এখন থানায় কোন অভিযোগ করেছে কিনা তা আমার জানা নেই।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত জাহাঙ্গীর খান বলেন, ওই রাতে আমি পার্শ্ববর্তী গ্রামে আমার বোনের বাড়িতে ছিলাম। তবে জমি সংক্রান্ত বিরোধের কথা স্বীকার করে তিনি বলেন, তা নিয়ে মামলা চলমান রয়েছে।

ইবাংলা/এসআরএস

মাছ নিধন