সর্বকালের সর্বোচ্চ মূল্য ছাড়িয়ে যাবে বিটকয়েন!

চলতি বছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত প্রতি বিটকয়েনের দাম বেড়েছে ৮০ শতাংশ। বিনিয়োগকারীদের কাছে যা ছিল অপ্রত্যাশিত এবং অমূলক ধারণা। চলতি বছরের শেষ নাগাদ সেরকম ‘অকল্পনীয়’ কিছু ঘটলে শীর্ষ ক্রিপ্টোকারেন্সির দর ১ লাখ ডলার ছাড়িয়ে যাবে।

বিখ্যাত মার্কিন সাময়িকী ফোর্বসের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা গেছে। এতে বলা হয়, এই বছর বিটকয়েনের মূল্য ব্যাপক বৃদ্ধি পেয়েছে। অন্যান্য দামি সম্পদগুলোকে তা ছাড়িয়ে গেছে। ক্রিপ্টোটির দরপতনের সময় যারা কিনে রেখেছিলেন, তারা বড় মুনাফা করেছেন।

আরও পড়ুন>> শপথ নিলেন মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মুইজ্জু

ইতোমধ্যে বিটকয়েনে লেনদেনের পক্ষে মত দিয়েছেন অনেক বোদ্ধা। তাদের জন্য চলমান বছর সোনায় সোহাগা। এরই মধ্যে ক্রিপ্টোকারেন্সি বাজারের শীর্ষ মুদ্রাটিকে ‘ডিজিটাল গোল্ড’ বলে আখ্যায়িত করেছেন। কেউ কেউ একে ‘নিরাপদ আশ্রয় বিনিয়োগের’ ক্ষেত্র হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তারা বলছেন, বিটকয়েনে আগামীতে ভালো লাভ হবে।

অর্থনীতি বিশ্লেষকরা বলছেন, শিগগিরই নতুন উচ্চতায় উঠতে পারে একটি বিটকয়েনের দাম। সেই সঙ্গে আকাশচুম্বী প্রত্যাশা করা হচ্ছে। ক্রিপ্টো এক্সচেঞ্জ জিমিনির প্রধান কৌশল কর্মকর্তা মার্শাল বিয়ার্ড মনে করেন, সর্বকালের সর্বোচ্চ দরের রেকর্ড ভেঙে দেবে ভার্চুয়াল মুদ্রাটি।

তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত ইতিহাসে ১ বিটকয়েনের রেকর্ড মূল্য উঠেছে ৬৯ হাজার ডলার। নিকট মেয়াদে সেটার কাছাকাছি স্তরে পৌঁছতে পারে অনলাইন মুদ্রাটির দাম। এমনকি তা ১ লাখ ডলার ছাড়িয়ে যেতে পারে। সবমিলিয়ে ডিজিটাল কারেন্সির মূল্য ২৭০ শতাংশ ঊর্ধ্বমুখী হতে পারে।

আরেক বৃহৎ ক্রিপ্টোকারেন্সি তিথারের প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা পাওলো আর্ডোইনোও বিটকয়েনের দর বৃদ্ধি নিয়ে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি জানিয়েছেন। তিনি বলেন, আবার সর্বকালের সর্বাধিক শিখরে পৌঁছতে পারে বিটকয়েনের মূল্য। এ ক্ষেত্রে যা ৬৯ হাজার ডলার স্পর্শ করতে পারে। এমনকি সেই পর্যায় অতিক্রম করে যাওয়ার জোরালো সম্ভাবনাও রয়েছে।

এরই মধ্যে বিশ্বের সর্ববৃহৎ অর্থনীতি যুক্তরাষ্ট্রে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আসতে শুরু করেছে। ফলে দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক ইউএস ফেডারেল রিজার্ভ (ফেডা) সুদের হার কমাতে পারে। এমনটি হলে মার্কিন মুদ্রা ডলারের মান কমে যাবে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই বিটকয়েনের দর বৃদ্ধি পাবে।

ইবাংলা/এসআরএস

বিটকয়েন