কোষ্টকাঠিন্য দূর করে বেলের শরবত 

গ্রীষ্মের তাপ ইতোমধ্যেই তার শক্তি জানান দিচ্ছে। বাইরে বেরোলে আমরা গরমে যেভাবে হাঁপিয়ে উঠছি, ঘাম ঝরছে তাতে শরীর ঠাণ্ডা রাখতে, শরীরের পানিশূন্যতা দূর করতে রাস্তার পাশের শরবত বিক্রেতার শরণাপন্ন হচ্ছি বা বারবার ফ্রিজের কাছে যাচ্ছি। গবেষকদের মতে, সর্বশ্রেষ্ঠ শরবত বা পানীয় হলো বেলের শরবত। সারাদিন বাইরের কাজ শেষে শরীরে পানির পরিমাণ কমে গেলে বেলের শরবত খুবই উপকারে আসে।

এছাড়াও পুষ্টিগুণে বিশেষ অনবদ্য এই বেল। এক গ্লাস বেলের শরবত খাওয়ার ফলে পেটও ঠিক মানে হজমশক্তি বাড়ায় আবার সারা দিনের ক্লান্তিভাব মুছে শরীরকে চাঙা করে তুলে। বাচ্চা ঠিকমতো বুকের দুধ পাচ্ছে না। এই কথাটা প্রায়ই শোনা যায়। বেলের শরবত নতুন মায়েদের বুকের দুধ যেমন বাড়ায় তেমনি এই গরমে বেলের শরবত গর্ভবতী মায়েদের সকালের অসুস্থতা ও ডিহাইড্রেশন দূর করে।

আরও পড়ুন>> ভারত বিশ্বকাপ জিতলে ‘নগ্ন’হতে চাওয়া কে এই অভিনেত্রী? 

এই গরমে কেন খাবেন বেলের শরবত বা বেলের শরবতের উপকারিতা: গরম চলে এসেছে বেশ কিছুদিন হলো। এই গরমে পেট ঠাণ্ডা রাখতে স্বাস্থ্যকর ফলের শরবত খাওয়ার পরামর্শ দেন পুষ্টিবিদরা। আর সব ফলের মধ্যে এই সময়ে বেলের শরবত হতে পারে সবচেয়ে উপাদেয় ও পুষ্টিকর। বেলে রয়েছে ভিটামিন সি, ভিটামিন এ, বি১, ফসফরাস, ক্যালসিয়াম ও পটাসিয়ামের মতো পুষ্টি উপাদান। তাই আর দেরি নয়। বেলের শরবত বা উড অ্যাপল স্কোয়াশ হজমশক্তি বাড়াতে সহায়তা করে। এটি আমাদের পাকস্থলিতে পরজীবীদের ধ্বংস করে এবং হজমজনিত ব্যাধি চিকিৎসার জন্য একটি ভালো প্রতিকার। বেল ফাইবার বা আঁশ সমৃদ্ধ বললেও ভুল হবে না। বলা ভালো আঁশ শ্রেষ্ঠ ফল হলো বেল। আসলে এটা সকলেই জানেন যে, বেলে কি পরিমাণ আঁশ বা ফাইবার রয়েছে। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে বেল থেকে ভালো ফল দ্বিতীয়টি খুঁজে পাওয়া কষ্টকর। অত্যধিক এই গরমে এক গ্লাস বেলের শরবত পেটে পড়লেও যেমন শান্তি তেমনি সকালে উঠে ছোট্ট ঘরে বসে আপনাকে কোষ্ঠকাঠিন্যের যন্ত্রণায় কাৎরাতে হবে না। আপনার বাথরুম সহজ ও শান্তির হবে।

দারুণ হলদে বাদামি রংয়ের ফলটির খোসা বা বাইরের আবরণ এত শক্ত যে, বিশ্বাস হবে না যে, ভেতরে এত নরম ও আশ্চর্য গুণাবলি সমন্বিত কম্বো প্যাক আপনার জন্য অপেক্ষা করছে। আস্তে আস্তে বের করুন ও ঠাণ্ডা জলে দিয়ে নাড়ুন। বেলের শরবত আলসার সারাতে সাহায্য করে। পাকা বেলে বিদ্যমান ফাইবার ও পুষ্টি উপাদান আলসার সারায়। বেল যেমন সুস্বাদু তেমনি মিষ্টি একটি ফল। এতে বিদ্যমান প্রাকৃতিক চিনি আমাদের শরীরে দ্রুত শক্তির যোগান দেয়। অ্যানার্জি বাড়াতে বেলের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ১০০ গ্রাম বেল ১৪০ ক্যালোরি অ্যানার্জি দেয়।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়: বেলে প্রচুর ভিটামিন সি রয়েছে। এই ভিটামিন শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। ডায়াবেটিস রোগীর জন্য উপকারী: এটি রক্ত প্রবাহে শর্করার প্রবাহ এবং নিঃসরণ পরিচালনা করে। এটি চিনির স্তরে স্পাইক এবং নিমজ্জন নিয়ন্ত্রণ করে যা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য বিপজ্জনক হতে পারে।  যারা নতুন মা হয়েছেন তাদের স্তন্যদুগ্ধ ঘাটতি একটা সাধারণ বিষয়। বেলের আশ্চর্যজনক পুষ্টি উপাদানের কারণে বেলের শরবত গর্ভবতী মায়েদের জন্য যেমন উপকারী তেমনি যারা নতুন মা হয়েছেন তাদের বুকের দুধ বাড়াতে বেলের শরবত খুবই কার্যকর। বেল বা বেলের শরবত দীর্ঘস্থায়ী শ্বাস-প্রশ্বাসের অবস্থা নিরাময়ে সহায়তা। এটি গলাব্যথা এবং কাশি থেকে সেরে উঠতেও সহায়তা করে। এটি কফটি আলগা করে এবং শ্বাসযন্ত্রের সিস্টেমের বিল্ড-আপকে সরিয়ে দেয়।

বেলের শরবত রক্ত পরিষ্কার করে। এটি রক্তকে বিশুদ্ধ করে। এটি রক্ত পরিশোধন এবং লিভার এবং কিডনি থেকে বিষাক্ত পদার্থগুলো অপসারণে সহায়তা করে।

ইবাংলা/এসআরএস

শরবত