আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি যদি আসতে চায় তাহলে সময় বাড়ানোর দরকার হলে তা দেখা হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) রাশেদা সুলতানা। তিনি বলেন, আইন দেখে ভোটের পথ সৃষ্টি করা হবে। নির্বাচনে আসতে চাইলে তারা স্পেস পাবে।
সোমবার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন এই কর্মকর্তা।
ইসি রাশেদা সুলতানা বলেন, বিএনপি নির্বাচনে না আসার কারণে শূন্যতা এবং হতাশা আছে। এসময় তিনি আশা প্রকাশ করেন রাজনৈতিক সংকট সমাধান হয়ে বিএনপি নির্বাচনে আসবে।
আরও পড়ুন>> মনোনয়ন ফরম কিনলেন রওশন এরশাদ
এর আগে, ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী নির্বাচনের সবরকম প্রস্তুতি সত্ত্বেও রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সমঝোতা হলে ভোটের তারিখ পেছাতে আপত্তি নেই বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেছেন, বিএনপি নির্বাচনে এসে সহায়তা চাইলে অবশ্যই তা করা হবে। তবে রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করার দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের নয়। যেসব দল নির্বাচনে অংশ নেবে, তাদের জন্য যত রকম ইতিবাচক চেষ্টা করা সম্ভব, তা করা হবে। যারা নির্বাচনে আসবে না, তাদের ব্যাপারে আমাদের কিছু করার নেই।
নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেয়া যাবে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত, তা বাছাই হবে ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর। আর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১৭ ডিসেম্বর। এছাড়া প্রার্থিতা প্রত্যাহারের পর ১৮ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দ হবে। ১৮ ডিসেম্বর থেকে ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত ভোটের প্রচার চালানোর সুযোগ থাকবে।
ইসির ঘোষিত তফসিলকে স্বাগত জানিয়ে এরই মধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনী কার্যক্রম শুরু করে দিয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও তার শরিকরা। অন্যদিকে বিএনপি ও তাদের মিত্ররা তফসিল প্রত্যাখ্যান করে নির্বাচন প্রতিহত করার ঘোষণা দিয়েছে। সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের একদফা দাবিতে হরতাল-অবরোধসহ নানা কর্মসূচি নিয়ে মাঠে রয়েছে তারা। এ ছাড়া সিপিবিসহ বেশ কয়েকটি বাম দলও নির্দলীয় তদারকি সরকার ছাড়া নির্বাচনে না যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।
তফসিল ঘোষণা হলেও রাজনৈতিক দলগুলোকে সংলাপের মাধ্যমে সংকট নিরসনের আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।
এর আগে ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরও রাজনৈতিক সমঝোতার জন্য ভোটের তারিখ পিছিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। এবারও সেই সুযোগ রাখা হয়েছে। অর্থাৎ, বিএনপি শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে এলে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের স্বার্থেই শেষ পর্যন্ত এ তারিখ একদফা পেছানো হতে পারে।
ইবাংলা/এসআরএস