কারামুক্ত হয়েই পরীক্ষা দিলেন জবি শিক্ষার্থী খাদিজা

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় আটকের প্রায় ১৫ মাস পর কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী খাদিজাতুল কোবরা। মুক্তি পেয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছেন তিনি৷

সোমবার (২০ নভেম্বর) দুপুর বারোটার দিকে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের পরীক্ষা কক্ষে গিয়ে তার পরীক্ষা দেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়। বিভাগের ৪০০১ নং কক্ষে পরীক্ষা দিতে বসেছেন তিনি৷

খাদিজা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। এক বছর ফাঁকা দিয়ে পরবর্তী সেশনের সাথে চতুর্থ মেমিস্টার ‘স্ট্যাটিক্যাল এপ্রোচেজ টু দ্যা স্টাডি অব পলিটিক্স’ (কোর্স কোড ২০০১) কোর্সটির পরীক্ষা দিচ্ছেন তিনি৷

আরও পড়ুন>> ১৫ মাস পর কারামুক্ত খাদিজা

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে উপস্থিত থাকা খাদিজার বোন সিরাজুল মুনিরা বলেন, খাদিজা মুক্তি পেয়েছে। আজ ওর পরীক্ষা আছে। এখন পরীক্ষার জন্য তেমন প্রস্তুতি নেই, আমরা চাচ্ছি শুধু এটেন্ড করার জন্য। তাই আমরা ওকে নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে এসেছি৷

তিনি আরও বলেন, খাদিজা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৫ ব্যাচের শিক্ষার্থী হলেও এক বছর নষ্ট হয়ে গেছে। তাই সে পরবর্তী ব্যাচের সাথে (১৬ ব্যাচ) পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে৷

এর আগে গত ১৬ নভেম্বর প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন ৬ সদস্যের আপিল বেঞ্চ খাদিজাকে হাইকোর্টের দেয়া জামিন বহাল রাখেন। আজ সোমবার থেকে খাদিজার সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা থাকায় দ্রুত আদেশের সংশ্লিষ্ট প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার নির্দেশনা প্রার্থনা করা হয় প্রধান বিচারপতির কাছে৷ যার প্রেক্ষিতে তিনি যথাযথ নির্দেশ প্রদান করেন।

অনলাইনে সরকার বিরোধী বক্তব্য প্রচার এবং বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্নের অভিযোগে ২০২০ সালের অক্টোবরে খাদিজাতুল কুবরার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে রাজধানীর কলাবাগান ও নিউমার্কেট থানায় পৃথক দুটি মামলা করে পুলিশ।

২০২২ সালের মে মাসে পুলিশ দুই মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়। সেই অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনাল খাদিজাতুল কুবরার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। পরে গত বছরের ১৭ সেপ্টেম্বর খাদিজাতুল কুবরাকে গ্রেপ্তার করে নিউমার্কেট থানা পুলিশ। এরপর থেকে কারাগারে ছিলেন খাদিজা।

ওই মামলায় বিচারিক আদালতে জামিন আবেদন নামঞ্জুরের পর তিনি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। পরে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট তাকে জামিন দেন। এ জামিনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্টের দেয়া জামিন আদেশ স্থগিত করেন আপিল বিভাগের চেম্বার জজ। ধারাবাহিতকায় বিষয়টি আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির জন্য ওঠে। গত ১৬ নভেম্বর (বৃহস্পতিবার) প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন ৬ সদস্যের আপিল বেঞ্চ খাদিজার হাইকোর্টের দেয়া জামিন বহাল রাখেন।

ইবাংলা/এসআরএস

জবি শিক্ষার্থী খাদিজা