কর্মক্ষেত্রে নিজেকে ভালো রাখার উপায়

কাজের চাপে প্রতিদিন জেরবার অবস্থা হয়ে যায় আমাদের। নিজেকে ভাবার সময় হয়ে ওঠে না আর। একঘেয়েমি চলে আসে। একসময় সব কিছুই বিরক্তিকর লাগা শুরু হয়। কর্মস্থলে তো বটেই নিজের আপজনের সাথেও শুরু হয় ঝগড়া। আসুন জেনে নেই এর থেকে মুক্তি পেতে কি কি করণীয় রয়েছে-

একটানা কাজ করবেন না: আমরা সবাই কাজ করতে করতে রোবটের মতো অনুভূতিহীন হয়ে যাই। কিন্তু মনে রাখা জরুরি আমরা মানুষ। আমাদের অনুভূতি রয়েছে। তাই একটানা কাজ না করে ১ ঘন্টা পর ৫ মিনিটের একটা বিরতি দিন।

আরও পড়ুন>>এইচএসসির ফল পুনর্নিরীক্ষার আবেদন শুরু, জেনে নিন নিয়ম

চেয়ার ছেড়ে উঠে দাঁড়ান: কাজের ফাঁকে ফাঁকে চেয়ার ছেড়ে উঠে আরাম করে একটু দাঁড়াতে পারেন। পাশাপাশি দীর্ঘশ্বাস নিতে পারেন। এতে যেমন রক্ত চলাচল বাড়বে, তেমনি আপনার কাজের স্পৃহাও বাড়বে। একঘেয়েমিও কিছুটা হলেও দূর হবে।

একটু হেঁটে আসুন: কাজের ফাঁকে সময় করে ৫ মিনিট একটু হেঁটে আসুন। সেটা আপনার অফিসের রুমের মধ্যেও হতে পারে। হালকা পায়চারি করার ফলে আপনার শরীরে রক্ত চলাচল বেড়ে যাবে।

প্রান খুলে হাসুন: হাসিতে ভাইটামিন আছে। এটা একটা বিখ্যাত ডায়লগ। হাসলে মানুষের মেজাজ হালকা করে, হৃদয়, ফুসফুস ও পেশিকে উদ্দীপিত করে। মস্তিষ্ককে আরো ভালো অনুভূতির জন্য এন্ডোরফিন নিঃসরণ করে। তাই মন খুলে হাসুন।

সব সময় পজেটিভ চিন্তা করুন: পজেটিভ চিন্তা আপনার জীবন ধারা বদলে দেবে। আপনাকে মানসিক অশান্তি থেকে দ্রুতই মুক্তি দিবে। পজেটিভ চিন্তার অভূতপূর্ব শক্তি রয়েছে। তাই নেতিবাচক চিন্তাধারা বলদে ইতিবাচক চিন্তা করুন।

স্মার্ট স্ন্যাকস: ভালো ক্যালরি, স্বাস্থ্যকর এমন কিছু খাবার আপনাকে সতেজ রাখতে পারে। সহজে পাওয়া যায় এমন কিছু স্ন্যাকসের তালিকায় রাখতে পারেন কমলালেবু। এটি একটি সাইট্রাস ফল যাতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে, যা আপনার ইমিউন সিস্টেমের জন্য ভালো। এছাড়াও ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের জন্য আখরোট, বাদাম বা পেস্তা খেতে পারেন। এসব খাবার আপনার স্ট্রেস হরমোনগুলোকেও বের করে দেয়

ভালো কাজ করুন: প্রতিদিন একটি করে ভালো কাজ করুন। ভালো কাজ মানসিক প্রশান্তি দেয়। খুবই সামান্য একটা ভালো কাজও আপনাকে আত্মতৃপ্তি দিবে।

ইবাংলা/এসআরএস

কর্মক্ষেত্র