জলবায়ু পরিবর্তনের হার আশংকাজনক বেড়ে চলছে। গোটা বিশ্ব আজ আতংকিত এবং চিন্তিত। সম্প্রতি কোভিডের ভয়বহতার পৃথিবীর লাখ লাখ মানুষ মারা যায় স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভেংগে পড়ে। চরম মানবিক বিপর্যয় ঘটে। এর চেয়ে ও বেশী ভয়াবহ অবস্থা হবে আগামীর জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে।
সমুদ্রপৃষ্ঠ আরো উঁচু হবে অনেক ক্ষুদ্র রাষ্ট্র সমুদ্র গর্ভে বিলীন হয়ে যাবে। গড় তাপমাত্রা বাড়ছে। দ্রুত বরফ গলছে। গ্রীন হাউজের প্রভাব অর্থাৎ গ্রীন হাউজের গ্যাসের পরিমাণ যতই বাড়ছে ততই বাড়ছে পৃথিবীর উষ্ণায়ন ।
ফলে প্রকৃতির উপর বিরূপ প্রভাব পড়ছে। শিল্প বিপ্লবের পর আঠার শতকে তাপমাত্রা দ্রুত বাড়ছে। প্রকৃতির ভারসাম্যহীনতা জীব বৈচিত্র্য বিলীন হতে চলছে। মানুষ তার কর্মক্ষমতা হারাচ্ছে। নানা জটিল রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।
আরও পড়ুন…জাতিসংঘের শীর্ষ জলবায়ু সম্মেলনে যোগদানের উদ্দেশ্যে ই-বাংলা সম্পাদক ইস্রাফীল হাওলাদারের ঢাকা ত্যাগ
নবজাতক শিশু নানা কঠিন রোগ নিয়ে পৃথিবীতে আসছে। নদী শাসন, অকারণে বনভূমি উজাড় পাহাড় কেটে বাড়ী ঘর নির্মাণ করে প্রকৃতির সাথে বৈরীভাব তৈরী করে আগামী প্রজন্মের জন্য গাছ-পালাহীন মরুভূমি তৈরী হচ্ছে । যা বিশ্বের মানব জাতির জন্য অশনিসংকেত।
আসলে পুঁজিবাদী শাসন ব্যবস্থায় অধিক মুনাফার আশায় অনিয়ন্ত্রিত শিল্প কারখানা স্থাপনের ফলে পরিবেশ দুষিতহচ্ছে যার অশুভ লক্ষন অনুমান করা যাচ্ছে। প্রাকৃতিক সম্পদের অতি ব্যবহারের ফলেও পরিবেশ ধ্বংশ হচ্ছে। বন উজাড়, ভূমিক্ষয় প্রাকৃতিক দুর্যোগ গ্রীন হাউজের এফেক্টের জন্য অশিকাংশ ক্ষেত্রে মানুষই দায়ী।
এ জন্য বাংলাদেশের জননন্দিত নেত্রী গণতন্ত্রের মানস কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিক ফোরামে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব তুলে ধরেন এবং ধনী দেশ গুলোর সরাসরি আর্থিক সহযোগিতা কামনা করেন।
আরও পড়ুন…সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে ৩ দাবি ইসলামী আন্দোলনের
তার আহ্ববানে ধনী দেশ গুলো ছাড়াও অনেক বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা ব্যাপক সাড়া দে। এ ক্ষেত্রে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থাগুলোর মধ্যে প্রশিকা মানবিক উন্নয়ন কেন্দ্র উল্লেখযোগ্য ।
এ সংস্থা সামাজিক বনায়নের মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তন ঝুকিতে ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করছে। বন উজাড় থেকে রক্ষা , ভূমিক্ষয় রোধ , দারিদ্র বিমোচন সহ প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় প্রশিকার অবিস্মরণীয় অবদান দেশ বিদেশে প্রশংসিত। সামাজিক বনায়নে কর্মসূচি গ্রহন করে পরিবেশ সুরক্ষায় অগ্রনী ভূমিকা পালন করে আসছে ।
পরিবেশ রক্ষায় ছাদ বাগান ,ও নগর বনায়নে প্রশিকা নতুন কর্মসূচী হাতে নিয়েছে। ,সামাজিক বনায়ন ও জলবায়ু পরিবর্তন ঝুকি মোকাবিলায় গঠনমূলক কর্মসূচি গ্রহন করে বেকার যুবকদের উল্লেখযোগ্য কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে।
এ কর্মসূচির মাধ্যমে দরিদ্ররা বিভিন্ন মালিকানাধীন সংস্থা এবং ব্যাক্তিদের জমির ইজারা চুক্তির মাধ্যমে এ কর্মসূচীর আওতায় এনে ঐসব জমির উপর ফলপ্রসূ অধিকার অর্জন করে।
প্রশিকা গ্রুপ এ কর্মসূচীর আওতাধীন সদস্যদের সামাজিক বনায়ন কার্যক্রমে জড়িত হতে এবং তাদের পারিবারিক আয়ের সাথে অতিরিক্ত আয় যোগ করতে উৎসাহিত করে।
আরও পড়ুন…গাজায় নিহত ছাড়াল ১৫ হাজার, নিখোঁজ ৭ হাজার
প্রয়োজনীয় ক্রেডিট এবং প্রযুক্তিগত সহায়তা দিয়ে প্রশিকা তাদের অনুপ্রানিত করে বিশ্ববাসীর নজরে আসে। রাস্তার ধারে বনায়ন এবং বিভিন্ন জায়গায় নার্সারী স্থাপন ও সচেতনতা বৃদ্ধি মূলক প্রশিক্ষনের আয়োজন করে সবুজায়নে এক নব জাগরন সৃষ্টি করে।
ষড়ঋতুর দেশ বাংলাদেশ। এ দেশের প্রাকৃতিক দুর্যোগ যেমন অতিবর্ষন,বন্যা, সামুদ্রিক ঝড়, খরা, তীব্র শ্বৈত্য প্রবাহ, নদী ভাঙ্গন নানা দূর্যোগে মানুষ নানাবিধ বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয়।
প্রশিকা এ দুর্যোগেও কর্মসূচী গ্রহণ করে দরিদ্র মানুষের পাশে দাঁড়ায় এবং তাদের সাহায্যে এগিয়ে আসে। যা দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা ,ত্রাণ ও পুনবাসন কর্মসূচী নামে খ্যাত।
প্রশিকা মানবিক উন্নয়ন কেন্দ্র এইভাবে গঠনমূলক কর্মসূচী গ্রহন করে জলবায়ু পরিবর্তন ঝুকি মোকাবেলায় অসাধারণ ভূমিকা রেখে বিশ্বপরিমন্ডলে আস্থা অর্জনে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি করে।