তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়েছে টাইগ্রেসরা। এ ম্যাচে অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি ও মুর্শিদা খাতুনের দারুণ ব্যাটিংয়ে টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ডও গড়েছে বাংলাদেশ।
রোববার (৩ ডিসেম্বর) বেনোনির উইলোমোর পার্কে আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে দুই উইকেটে ১৪৯ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশের মেয়েরা। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ১৩৬ রানেই গুটিয়ে যায় প্রোটিয়ারা। এতে ১৩ রানে জয় পেয়েছে নিগার সুলতানা জ্যোতির দল।
আরও পড়ুন>>সোমবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ১৪ দলের শরিকদের বৈঠক
লক্ষ্য তাড়ায় দুর্দান্ত শুরু পায় দক্ষিণ আফ্রিকার মেয়েরা। দলটির হয়ে ইনিংস উদ্বোধনে নামেন তানজিম ব্রিটস ও অ্যানেকে বস্ক। ম্যাচের শুরু থেকে ঝোড়ো গতিতে রান তাড়া করেন এ দুই ব্যাটার। ম্যাচের ১০ ওভারে এ জুটি ভাঙেন রাবেয়া খান। তার ঘূর্ণিতে মোস্তারির তালুবন্দী হন প্রোটিয়া দলপতি ব্রিটস। আউট হওয়ার আগে ৩০ করেন তিনি। এরপর ক্রিজে আসেন অ্যানেরে ডার্কসেন। তবে উইকেটে থিতু হওয়ার আগেই ফাহিমার ঘূর্ণিতে কাটা পড়েন তিনি। তার বিদায়ে সান লুস ম্যাচের ব্যবধান গড়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু তিনিও ব্যর্থ হন। অন্যপ্রান্তে ব্যাট হাতে টাইগ্রেসদের চোখে চোখ রাঙিয়ে লড়াই চালিয়ে যান বস্ক। তবে তাকে যোগ্য সঙ্গ দিতে ব্যর্থ হন প্রোটিয়াদের মিডল অর্ডার ও টেল এন্ডাররা। ম্যাচের ১৮তম ওভারে বস্কের বিদায়ে টাইগ্রেসরা জয়ের সুবাস পেতে থাকে। অবশ্য ডেলমি টাকারের ব্যাটে তখনো জয়ের স্বপ্ন দেখছিল স্বাগতিকরা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তিনিও কিছু করতে পারেননি।
এদিন ব্যাট হাতে ছয় প্রোটিয়া ব্যাটার দুই অঙ্কের ঘর স্পর্শ করতে ব্যর্থ হয়েছেন। বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৫ উইকেট শিকার করেন স্বর্ণা আক্তার।
এর আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন টাইগ্রেস দলপতি নিগার সুলতানা জ্যোতি। দলটির হয়ে ইনিংস উদ্বোধনে নামেন শামীমা সুলতানা ও মুর্শিদা খাতুন। ম্যাচের শুরু থেকেই আগ্রাসী ব্যাটিং করে এ দুজন। এভাবে নির্বিঘ্নে ৭ ওভার কাটিয়ে দেন তারা। ম্যাচের সপ্তম ওভারের শেষ বলে এ জুটিতে আঘাত হানেন নন্দুমিসো। তাতে ২৪ রানেই সাজঘরে ফেরেন শামীমা। পরে উইকেটে আসেন সোবহানা মোস্তারী। তবে ঝোড়ো গতিতে রান তুলতে গিয়ে বিপাকে পড়েন তিনি। ম্যাচের ১৩তম ওভারে মার্কসের বলে লেগ বিফরের ফাঁদে পড়েন এ ব্যাটার। আউট হওয়ার আগে ১৬ রান করেন।
এরপর বাইশ গজে আসেন টাইগ্রেস দলপতি নিগার সুলতানা জ্যোতি। তার সঙ্গে ৬৬ জুটি গড়েন মুর্শিদা খাতুন। সেই সঙ্গে নিজের ব্যক্তিগত ফিফটিও তুলে নেন মুর্শিদা। শেষপর্যন্ত তার ও জ্যোতির দুর্দান্ত ক্যামিওতে ১৪৯ রানে থামে বাংলাদেশের ইনিংস।
প্রোটিয়াদের হয়ে একটি করে উইকেট শিকার করেন মার্কস ও নন্দুমিসো।
ইবাংলা/এসআরএস