এশিয়া ক্লাইমেট মোবিলিটি চ্যাম্পিয়ন লিডার অ্যাওয়ার্ড পাওয়ায় প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছে ১৪ দল।
সোমবার (৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যার পর গণভবনে ১৪ দলের বৈঠক হয়। বৈঠকে শুরুতে ১৪ দলের নেতারা তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ রোববার (০৩ ডিসেম্বর) সকালে গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর হাতে এ পুরস্কার তুলে দেন।
বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব মোকাবিলায় নেতৃত্ব এবং সোচ্চার কণ্ঠস্বরের স্বীকৃতি হিসেবে এ পুরস্কার পান প্রধানমন্ত্রী। তাকে এ পুরস্কারে ভূষিত করেছে ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশন (আইওএম) এবং জাতিসংঘ সমর্থিত গ্লোবাল সেন্টার ফর ক্লাইমেট মোবিলিটি সংস্থা।
আরও পড়ুন>> মনোনয়নপত্র বাছাই শেষ, আপিল শুরু মঙ্গলবার
গত ০১ ডিসেম্বর দুপুরে দুবাইতে বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলন-কপ ২৮ এর সাইড-লাইনে একটি উচ্চস্তরের প্যানেল অধিবেশনে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সভাপতি রাষ্ট্রদূত ডেনিস ফ্রান্সিস এবং আইওএমের মহাপরিচালক অ্যামি পোপের কাছ থেকে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে পুরস্কারটি গ্রহণ করেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
জলবায়ু গতিশীলতার বিষয়টিকে বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক আলোচনার মূলধারায় আনার এখনই উপযুক্ত সময় উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৮তম অধিবেশনের ক্লাইমেট মোবিলিটি সামিটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জলবায়ুজনিত কারণে বাধ্য হয়ে অভিবাসন এবং বাস্তুচ্যুতির দিকটি বিশ্ব নেতাদের তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে নিয়ে আসেন।
বাংলাদেশ গত কয়েক বছর ধরে ঢাকায় আইওএমের সহযোগিতায় আয়োজিত দুটি সংলাপ এবং গতবছর মিশরের শার্ম এল শাইখে কপ২৭ এ বিষয়টি তুলে ধরেছে বলে জানান হাছান মাহমুদ।
একই সঙ্গে কক্সবাজারে বাস্তুচ্যুত চার হাজার ৪০০ পরিবারকে পুনর্বাসনের জন্য বিশ্বের বৃহত্তম বহুতল সামাজিক আবাসন প্রকল্প নির্মাণসহ জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের উদ্যোগের নানা দিক তুলে ধরেন তিনি।
পুরস্কার দেওয়া গ্লোবাল সেন্টার ফর ক্লাইমেট মোবিলিটি সংস্থাটি জাতিসংঘ, আঞ্চলিক আন্তঃসরকারি সংস্থা এবং উন্নয়ন অর্থ সংস্থাগুলোর সঙ্গে সহযোগিতায় জলবায়ু গতিশীলতা মোকাবিলায় সহযোগিতামূলক বিস্তৃত সমাধানের জন্য কাজে ব্যাপৃত রেখেছে।
ইবাংলা/এসআরএস